‘রাইপেন’ নামের ঔষধ স্প্রে করে সবুজ টমেটোকে লাল রংয়ে পরিণত করা হচ্ছে। এরপর অপরিপক্ক টমেটোকে বাজারজাত করছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমন অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার টমেটো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভোক্তারা।
জানা যায়, টমেটোর চারণভূমি হিসেবে খ্যাত গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রায় ৩০টি স্থানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার ব্যবসায়ীরা টমেটো কিনে নেন। এসব টমেটো পাইকারী বিক্রয় করা হয় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এবছর উপজেলায় ২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। যা ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার টমেটো কেনাবেচা হবে বলেও আশাবাদী বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গোদাগাড়ীতে চলমান মৌসুমের টমেটো বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এবছর কাঁচা টমেটো বেচাকেনা হচ্ছে ১৩-১৫ শত টাকা মণ (৪৫ কেজিতে এক মণ ধরা হয়) দরে। এরপর তিন ধাপে রোদে শুকিয়ে লাল রং ধারণ করতে সময় লাগে প্রায় ১০দিন। প্রক্রিয়াটি এখন শুরু হয়েছে, টমেটোর রং লাল হলে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই দেশের বাজারে নামতে শুরু করবে গোদাগাড়ীর টমেটো।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, টমেটোতে একবার ‘ইথিফন’ ও ‘ডায়থিন এম ৪৫’ জাতীয় ঔষধ স্প্রে করা হয়। অপরিপক্ক টমেটো লাল রং করতে কিছু ব্যবসায়ীরা রাইপেন নামক ক্যামিকেল ব্যবহার করে। উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে সব ধরনের তদারকি অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।