আরেকজন কৃষক জানান যে গত বছর দুই বিঘা জমিতে পাট চাষ করে প্রতি মণ পাট ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন। সেই আশাতেই এবার পাঁচ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন, উৎপাদনও ভালো হয়েছে কিন্তু হাটে পাট নিয়ে বিক্রি করতে পারেননি। তাই পাট নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ৭টি উপজেলায় ১৬ হাজার ৯ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে ১৬ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়। এ বছর পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন হলেও ফলন ভালো হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ হাজার ৯১০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত বছর পাটের দাম ভালো পেয়েছেন কৃষকেরা । যার কারণে এ বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
গাইবান্ধা জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায় যে, মোট আটটি সরকারি পাটগুদাম আছে জেলার সাতটি উপজেলায়। কিন্তু গুদামগুলো সব বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলায় লাইসেন্সধারী ২৬১ জন পাট ব্যবসায়ী আছেন এবং পাটচাষি আছেন ২১ হাজার।
গাইবান্ধা জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা বলেন, পাটের দাম বাড়ার কারণে জেলায় পাট এর চাষ বেড়েছে। অন্যদিকে সরকারি গুদামে পাট কেনা বন্ধ রয়েছে। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পাট কিনতে পারছেন না।