আজ বুধবার উপজেলায় গিয়ে দেখা যায় মির্জাপুরের কদিমধল্যা-ছাওয়ালী-বাসাইল সড়কের পূর্ব পাশে ভাতকুড়া ও আদাবাড়ী এলাকার সকল জমি তলিয়ে গেছে। চলতি ভরা বর্ষা মৌসুমে জমিতে পানি না আসার কারণে মাত্র ১৫ দিন আগেও কৃষকেরা চিন্তিত ছিলেন। বর্ষা মৌসুমে পানি না আসলে জমির উর্বরতা কমে যায় আবাদি মৌসুমে। এই সময় তাঁরা জমিতে রোপা আমন বোনেন কিছু বাড়তি লাভের আশায়।
কাজিরাপাড়া এলাকার ঝিনাই নদের পারের প্রায় ৬০ ফুট এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। এই অংশ দিয়েই প্রবল স্রোতে জমিগুলোতে পানি ঢুকছে বলে জানা যায়।
পাবাসাইল উপজেলার হাবলা পূর্বপাড়া গ্রামের আজাদ মান্নান বলেন, তিনি ১ একরের বেশি জমিতে ধান বুনছিলেন। তাঁর জমিসহ হাবলা এলাকার সব জমির ধান বর্তমানে প্রায় চার ফুট পানির নিচে ডুবে আছে।
আদাবাড়ী গ্রামের েএকজন কৃষক জানান কোনো সম্পত্তি না থাকায় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক একর জমি বর্গা নিয়েছিলেন। সে জমিতে রোপা আমন বুনেছিলেন ঠিকই কিন্তু ধান পানিতে ডুবে যাওয়ায় তারা শংকিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মশিউর রহমান এর সাথে কথা বলে জানা যায়, মির্জাপুরে এ বছর রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৫ হেক্টর। পানি না আসায় কারণে কৃষকদের রোপা আমন বোনার উৎসাহ বেশি ছিল। তিনি ধারণা করেছিলেন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি অর্জন হবে এই বছর। হঠাৎ বন্যার পানির কারণে মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৯ হেক্টর রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ১০-১২ দিনের মধ্যে পানি সরে গেলে লক্ষ্যমাত্রার বেশি উৎপাদনের প্রত্যাশা এখনো রয়েছে।