মাছ চাষে যে পরিমান বিনিয়োগ তার ৭০ ভাগ বিনিয়োগ করতে হয় খাবারের জন্য। খাবার খাওয়াতে একটু সতর্কতা আপনার বিনিয়োগে মুনাফার হার বাড়িয়ে দিবে।
জলাশ্বয়ে প্রাকৃতিক খাবার তৈরীর জন্য যা করবেন, প্রতি বিঘার জন্য ৫ কেজি খৈলের সাথে ২০ কেজি গোবর ৪০ লিটার পানিতে পাঁচ দিন ভিজিয়ে রাখুন।
পাচ দিন পর প্রয়োগ কালে ৫ কেজি ডিএপি গুলিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ছিটিয়ে দিন। এতে আপনার প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রাকৃতিক খাবার তৈরি হবে।
যদি কেউ জৈব রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে চান তাহলে যেভাবে করতে পারবেন, পুকুরে শুধু ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যায় কি? ইউরিয়ার সাথে টিএসপি অবশ্যই দিতে হবে। কারন হচ্ছে ফাইটোপ্লাংক্টন হচ্ছে উদ্ভিদ জাতীয় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা;যেটির পুষ্টি হিসাবে দুইটারই দরকার।
কেউ যদি শুধু ইউরিয়া দেন তাহলে বিশেষ ধরনের ফাইটোপ্লাংক্টন তৈরি হয় যা কিনা বেশীরভাগই ভাসমান এবং ‘দন্ডাকৃতি’ ! দন্ডাকৃতি ফাইটোপ্লাংক্টন গুলি “চিংড়ী”র ফুলকায় আটকে গিয়ে চিংড়ি মারা যাওয়ার কথা বলা হয়!
দন্ডাকৃতি ফাইটোপ্লাংক্টন গুলি খাবার হিসাবে গৃহীত না হওয়ায় এক সময় বিষাক্তও হয়ে যায়!
ইউরিয়া দেয়াতে সতর্কতা জরুরী, ওভারডোজ ইউরিয়া দিলে “তাপ মাত্রা” যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে
“এ্যামোনিয়া টক্সিসিটি” হয়েও মাছ মারা যেতে পারে।
রাসায়নিক সার দিলে শুধু ফাইটোপ্লাংক্টন তৈরি হয়। জুওপ্লাংক্টন তৈরির জন্য অবশ্যই জৈব সার অথবা জৈব পদার্থ প্রয়োগ করতে হবে।
ফাইটোপ্লাংক্টন এর ‘পুরুত্ব’ বাড়ানোর জন্য অবশ্যই “মিউরেট অব পটাশ”ও ব্যবহার করতে হয়।
রাসায়নিক সার প্রয়োগের মাত্রা সপ্তাহে শতকে অথবা পানিতে প্লাংটনের উপস্থিতির উপর
সারের নাম | পরিমান গ্রাম |
ইউরিয়া | ৫০-৭০ |
টিএসপি | ৫০-৭০ |
পটাশ | ১০-২০ |
এর সাথে প্রতি শতকে জৈব সার ১.২৫ কেজি করে ৭-১০ দিনের জন্য অবশ্যই প্রয়োগ করবেন।। জৈব সার ছাড়া রাসায়নিক সারের তেমন কাজ কিন্তু পুকুরে হবে না।
সব কিছুতেই যেমন একটা ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপার আছে তেমনি পুকুরে ফাইটোপ্লাংক্টন তৈরির জন্য রাসায়নিক সারেরও সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করতে পারলেই যেমন সঠিকভাবে প্রয়োজন মিটবে। সেই সাথে অহেতুক অর্থ ব্যয় কিংবা ক্ষতি গ্রস্থ হবার সম্ভাবনাও থাকবে না।
Rakesh
March 1, 2022 at 10:45 pmমিনিমাম কতো ইঞ্চি সাইজের উপর রাসায়ানিক সার প্রয়োগ করা যায়
দিপঙ্কর
January 3, 2022 at 9:27 amমাছের খাদ্যের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে। পুকুরে প্রাকৃতিক খাবার তৈরির বিকল্প নাই।