তোতা পাখি ও টিয়া পাখি মূলত একই শ্রেণির পাখি এবং এদের মধ্যে পার্থক্য খুবই সামান্য। তবে কিছু বিশেষ পার্থক্য আছে, যা নিচে উল্লেখ করা হলো—
১. নামের পার্থক্য:
- তোতা পাখি হল বাংলা ভাষায় সাধারণত ব্যবহৃত একটি নাম, যা মূলত সব ধরনের তোতাপাখিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
- টিয়া পাখি এক ধরনের তোতাপাখি, বিশেষ করে রিং-নেকড প্যারাকিট (Psittacula krameri) নামে পরিচিত একটি প্রজাতি।
![তোতা পাখি](https://i0.wp.com/agrobd24.com/wp-content/uploads/2025/02/%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF.jpg?resize=730%2C730&ssl=1)
২. প্রজাতিগত পার্থক্য:
- “তোতা পাখি” বলতে সব ধরনের তোতাপাখি (Parrots, Parakeets, Macaws, Cockatoos ইত্যাদি) বোঝানো হতে পারে।
- “টিয়া পাখি” বলতে সাধারণত ছোট বা মাঝারি আকৃতির, সবুজ রঙের, লম্বা লেজযুক্ত তোতাপাখি বোঝানো হয়।
৩. বাহ্যিক পার্থক্য:
- টিয়া পাখির গলার চারপাশে কালো বা লাল রঙের রিং থাকতে পারে (বিশেষ করে পুরুষ টিয়ার ক্ষেত্রে)।
- সাধারণ তোতা পাখির আকৃতি, রঙ, এবং প্রজাতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, যেমন—লাল, নীল, হলুদ ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়।
![টিয়া পাখি](https://i0.wp.com/agrobd24.com/wp-content/uploads/2025/02/%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BF.jpg?resize=730%2C730&ssl=1)
৪. কথা বলার দক্ষতা:
- টিয়া পাখি তুলনামূলক কম শব্দ অনুকরণ করতে পারে, তবে কিছু কিছু সহজ শব্দ বা বাক্য বলতে পারে।
- অন্যান্য তোতা পাখি (বিশেষ করে আফ্রিকান গ্রে, আমাজন, ককাটু) মানুষের ভাষা অনেক ভালোভাবে অনুকরণ করতে সক্ষম।
৫. বিস্তৃতি ও জনপ্রিয়তা:
- টিয়া পাখি ভারত, বাংলাদেশ ও আশপাশের দেশগুলোতে বেশি দেখা যায়।
- অন্যান্য তোতাপাখি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে।
সংক্ষেপে:
সব টিয়া পাখি তোতা পাখি, কিন্তু সব তোতা পাখি টিয়া পাখি নয়। টিয়া পাখি এক ধরনের তোতা, যা সাধারণত সবুজ রঙের ও লম্বা লেজযুক্ত হয়। তবে তোতা বলতে বৃহত্তর শ্রেণির বিভিন্ন ধরনের পাখিকে বোঝানো হয়।