সুস্থ ও সবল গবাদিপশুর বাছুরের জন্য আপনাকে গবাদিপশু কে প্রথম থেকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। পুষ্টিকর ঘাস ও প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর ফলে আমাদের বাংলাদেশের দেশিয় জাতের গরুতে গর্ভকালীন জটিলতা ছিল না। দেশিয় গরুর সাথে বিভিন্ন ক্রসের ফলে এখন বাছুরের জন্ম পরবর্তী নিবিড় পরিচর্যা জরুরী।
আমাদের আজকের আলোচনা সদ্যজাত বাছুরের যত্ন ও পরিচর্যা
সদ্যজাত বাছুরের যত্ন ও পরিচর্যা:
১) বাচ্চা হওয়ার পর পরই নাক ও মুখের লালা ও তরল পদার্থ পরিষ্কার করতে হবে। যাতে সহজে শ্বাস নিতে পারে।
২) নবজাতকের শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে নাক, মুখে ফুঁ দিয়ে এবং বুকের পাজঁরের হাড়ে আস্তে চাপ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩) বাচ্চাকে খড়ের বিছানা বা চটের উপর শোয়াতে হবে। গাভীকে বাচ্চার কাছে রাখতে হবে যাতে বাচ্চার শরীর চেটে পরিষ্কার করতে পারে।
৪) গাভী বাচ্চার শরীর না চাটলে নরম শুকনা খড় বা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৫) কোন অবস্থাতেই নবজাত বাছুরের শরীর পানি দিয়ে ধোয়া যাবে না।
৬) শীতে বা অতিরিক্ত ঠান্ডায় শুকনো কাপড় বা চট দিয়ে বাছুরকে ঢেকে দিতে হবে৷ অথবা আগুন জ্বালিয়ে বাছুরের শরীর গরম রাখার ব্যবস্থা করতে হবে
৭) বাছুরের নাভী ১-২ ইঞ্চির মত লম্বা রেখে জীবানুমুক্ত ব্লেড/কেচিঁ দিয়ে কেটে দিতে হবে।
৮) কাটার পর স্থানটিতে টিংচার আয়োডিন বা টিংচার বেনজিন জাতীয় জীবাণুনাশক ঔষধ লাগাতে হবে৷ এর ফলে নাভি দিয়ে রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না
বাছুরের খাবার ব্যবস্থাপনা
৯) বকনাকে দাড়াতে সাহায্য করতে হবে এবং বাছুর উঠে দাড়ানোর সাথে সাথে গাভীর বাট পরিস্কার করে শাল দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
১০) বাছুরের জন্মের পর কয়েক সপ্তাহ যাবত প্রতিটি বাছুরকে আলাদা ভাবে মেঝেতে শুস্ক খড় বিছিয়ে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে৷ তবে ৮ সপ্তাহ পর থেকে একসাথে প্রায় একই বয়সের বাছুরের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
১১) প্রসবের পরপরই কোন কারণে গাভীর মৃত্যু হলে বাছুরকে অন্য গাভীর শালদুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে