
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সম্পূরক শুল্কের চাপ সামাল দেওয়ার অংশ হিসেবে দেশটি থেকে বছরে সাত লাখ টন গম আমদানির জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ। গতকাল (রোববার) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান এবং খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এই সমঝোতা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক (যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে) মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করছে। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গড় শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ, যা নতুন করে বেড়ে ৫০ শতাংশ হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে সাত লাখ টন উচ্চমানের গম আমদানি করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত, রাশিয়া, বেলারুশসহ অন্যান্য দেশ থেকে গম আমদানি করে থাকে।
বাংলাদেশের পক্ষে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইউএস হোয়েট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেফ কে সাওয়ার এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও আমেরিকার মধ্যে আস্থা এবং পারস্পরিক বাণিজ্য সহযোগিতার আরও বিস্তৃত ক্ষেত্র তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। উভয় দেশের জনগণ এতে উপকৃত হবেন।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য সচিব মাসুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জেকবসন, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।