রসুন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কৃষকরা। বাজারে রসুনের দাম ভালো পাওয়ায় ও ফলন বেশি হওয়ায় এই অঞ্চলে রসুন চাষ আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রসুন রোপনের কার্যক্রম চলবে আরও ১০-১৫ দিন।
সরেজিমনে দেখা যায় খানসামা উপজেলার কায়েমপুর, জোয়ার,জুগীরঘোপা, কাচিনীয়া, রামনগর, গোয়ালডিহি গ্রামের মাঠে মাঠে কৃষক-কৃষাণীরা দল বেঁধে বিনা চাষে রসুন রোপন করছেন। কেউ জমি প্রস্তুত করছে। আবার কেউ রসুন রোপন করছেন।
খানসামা উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ২৬০০ হেক্টর জমিতে রসুন রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে রসুন রোপন করা হবে।
কৃষকরা জানায়, প্রতি একর জমিতে রসুন চাষে শ্রমিক ও চাষ বাবদ খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর বীজ, রাসায়নিক সার ও সেচ বাবদ খরচ হয় আরও ৩০ হাজার টাকা। এতে করে প্রতি একরে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে একর প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ মণ রসুন পাওয়া যায়। গড়ে প্রতি মণ রসুন আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা করে হলে দাম পাওয়া যায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো। রসুন ঘরে তোলা, বাছাই ও বাজারজাতকরণে আরও প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ বাদ দিলেও লাভ থাকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে এই দামে রসুন বিক্রি করতে হলে মৌসুমের শুরুতেই নয়, একটু অপেক্ষা করতে হয়।
খানসামা উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, রসুন মসলাজাত অর্থকরী ফসল। খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে এই ফসলের ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে। রসুন চাষে কৃষককে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে উপ-সহাকারী কর্মকর্তারা। এখনও ১০-১৫ দিন চলবে এই রসুন রোপনের কার্যক্রম। আগামীতে এই ফসলের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।