
আসন্ন ঈদুল আজহায় চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষভাবে তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি উল্লেখ করেন, চামড়ার দামের সুবিধা মূলত দরিদ্র মানুষেরা পেয়ে থাকেন। এ কারণে প্রধান উপদেষ্টা চামড়ার মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। কাঁচা চামড়া রপ্তানি পর্যন্ত সংরক্ষণে সরকার সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘দেশীয় পশুতে কোরবানি: পশু ও চামড়া ব্যবস্থাপনায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, কোরবানির ঈদে গরু মোটাতাজাকরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, এসব পশু কতটা নিরাপদ। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে মোটাতাজাকরণ করা পশু যেন হাটে না আসে, সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। কোরবানির মাংস বিতরণের বিষয়ে উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দরিদ্রদের মধ্যে সঠিকভাবে মাংস বিতরণ করা হয় না, যার ফলে ঈদের আগে ফ্রিজের বিক্রি বেড়ে যায়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, কোরবানির মাংসের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল ও এনসিপি নেতা সামান্তা শারমিন।