Thursday, 28 March, 2024

সর্বাধিক পঠিত

সাঙ্গু নদীতে মিলল বিলুপ্ত মহাশোলের নতুন জাত


বান্দরবানের থানচি পাহাড়ের কোলঘেঁষা সাঙ্গু নদীতে মিলেছে নতুন এক মহাশোলের খোঁজ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গত রোববার মহাশোলের নতুন প্রজাতির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা। প্রজাতিটির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে Tor barakae। এখন প্রজাতিটি সংরক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কাজ করবেন তাঁরা। এটি নিয়ে দেশে মিঠাপানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬১।

মহাশোল- বিপন্ন বনেদি মাছ। দেশে এত দিন ছিল এই মাছের দুটি প্রজাতি, তাও বিলুপ্তপথের যাত্রী। মৎস্যবিজ্ঞানীরা দিলেন শুভবার্তা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগের মহাশোলের দুটি প্রজাতির একটি ছিল সোনালি মহাশোল (Tor tor), অন্যটি লাল-পাখনা মহাশোল (Tor putitora)। নেত্রকোনার কংস ও সোমেশ্বরী নদীতে ছিল এদের আবাস। এ দুই প্রজাতির মহাশোল মূলত পাহাড়ি ঝরনা প্রবাহিত স্রোতস্বিনী জলাশয়ে বাস করে। পাথরের শরীরে লেগে থাকা শেওলা জাতীয় খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে।

আরো পড়ুন
করলার লাভজনক চাষ পদ্ধতি
লাভজনক করলা চাষ

করলার লাভজনক চাষ চাষ পদ্ধতি করলার ইংরেজি নাম Gourd, আমাদের দেশে করলা গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বর্তমানে করলা বার মাসই বাজারে Read more

বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ

বাগদা চিংড়ির (ব্ল্যাক টাইগার) চেয়ে ভেনামির উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। তারপরও বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ ? Read more

বিএফআরআই বলছে, এক বছর আগে রাঙামাটি উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মহাশোলের খোঁজে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় সমীক্ষা চালান। বান্দরবানের থানচির সাঙ্গু নদীতে আন্ধারমানিক, বোরো মদক ও লিগরি এলাকায় যেখানে পানির গভীরতা এবং তলদেশে পাথরের মাত্রা বেশি, সেখানেই এ প্রজাতির খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। সংগ্রহের পর মাছটির বাহ্যিক গঠন ও অন্য সব দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে প্রজাতি শনাক্ত করতে ডিএনএ বারকোডিং করা হয়। মাছটি সর্বোচ্চ ১৫ কেজি ওজন হতে পারে। প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আজহার আলীর নেতৃত্বে বিজ্ঞানী দলে আরও ছিলেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুনাইরা রশিদ ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইমদাদুল হক।

0 comments on “সাঙ্গু নদীতে মিলল বিলুপ্ত মহাশোলের নতুন জাত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *