Thursday, 28 March, 2024

সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশই আম-কাঁঠাল-কলা


ফজলি আম

জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিএসও বাবুল চন্দ্র সরকার জানান- বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশই আম-কাঁঠাল-কলা।

তিনি আরও জানান বাংলাদেশে দেশি–বিদেশি ৭৮ রকমের ফল চাষ হচ্ছে। তবে উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশ আম, কাঁঠাল ও কলা। সঙ্গে তরমুজ, পেয়ারা এবং আনারস ধরলে সেটি হবে ৭৭ শতাংশ। এসব ফলের অধিকাংশই মৌসুমি ফল। এ কারণে সারা বছরের উৎপাদিত ফলের ৫৪ শতাংশই আসে মৌসুমের চারমাসে (মে থেকে আগস্ট)। বাকি আটমাসে (সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল) পাওয়া যায় মাত্র ৪৬ শতাংশ ফল।

দেশে সার্বিক ফল উৎপাদনের মধ্যে ২৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ আম। ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাঁঠাল এবং ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ কলা। এছাড়া ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ তরমুজ, ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ পেয়ারা এবং ৪ দশমিক ৫ শতাংশ আনারস চাষ হচ্ছে।

আরো পড়ুন
করলার লাভজনক চাষ পদ্ধতি
লাভজনক করলা চাষ

করলার লাভজনক চাষ চাষ পদ্ধতি করলার ইংরেজি নাম Gourd, আমাদের দেশে করলা গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বর্তমানে করলা বার মাসই বাজারে Read more

বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ

বাগদা চিংড়ির (ব্ল্যাক টাইগার) চেয়ে ভেনামির উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। তারপরও বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ ? Read more

ওই প্রবন্ধে আরও বলা হয়, শুধু এ কয়েকটি মৌসুমি ফল উৎপাদনের আধিক্যের পাশাপাশি আরও কিছু কারণে ফলের অপচয়ও বাংলাদেশে অনেক বেশি। দেশে সবচেয়ে বেশি সংগ্রহোত্তর ক্ষতি হচ্ছে মৌসুমি ফলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নষ্ট হচ্ছে পেঁপে, যা সাড়ে ৫১ শতাংশ। এছাড়া ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ লিচু, ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ আম, ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ কলা এবং ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ কাঁঠাল নষ্ট হচ্ছে প্রতি মৌসুমে।

প্রয়োজন ফলের অপচয় রোধ করা

বাবুল চন্দ্র সরকার বলেন, এ অপচয় রোধ করা গেলে বর্তমানে ফলের যে প্রাপ্যতা সেটা আরও বাড়ানো যেতো। সরকার যে পুষ্টিজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা ভাবছে সেটা ত্বরান্বিত হতো।

তিনি বলেন, নানা জাতের বিদেশি ফল চাষ শুরু হলেও আমরা এখনো দেশি মৌসুমি ফলের ওপর নির্ভরশীল। সে কারণে কাছাকাছি সময়ে যখন সব ধরনের ফল বাজারে আসছে, তখন সেগুলো খাওয়ার আগ্রহ কম থাকছে। অপচয় হচ্ছে বেশি। ফলে সারাবছর যেন পাওয়া যায় এ লক্ষ্যে সব ধরনের ফল চাষের পরিকল্পনা দরকার। যেন পুরো সময় বাজারে কোনো না কোনো ফলের ব্যাপক সরবরাহ থাকে।

আমরা এখনো দেশি মৌসুমি ফলের ওপর নির্ভরশীল। সে কারণে কাছাকাছি সময়ে যখন সব ধরনের ফল বাজারে আসছে, তখন সেগুলো খাওয়ার আগ্রহ কম থাকছে। অপচয় হচ্ছে বেশি। ফলে সারাবছর যেন পাওয়া যায় এ লক্ষ্যে সব ধরনের ফল চাষের পরিকল্পনা দরকার।

0 comments on “বাংলাদেশে মোট উৎপাদিত ফলের ৬০ শতাংশই আম-কাঁঠাল-কলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *