ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তিন ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে। তাই কসবায় মাটি কাটার প্রতিবাদ করছে স্থানীয় জনগণ। মাটি কাটার প্রতিবাদ স্বরূপ গতকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় লোকজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ করেন
উপজেলার গুরুহিত গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।
এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে।
পরবর্তীতে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
কসবা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
পরে ইউএনও মাসুদ উল আলমের কাছে গ্রামবাসীরা একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
গুরুহিত গ্রামের বাসিন্দা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোসলেম হাজারী।
তার সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ মিছিলে বক্তব্য দেন মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. হান্নান খন্দকার প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, টিঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মোল্লা।
তিনি গুরুহিত মৌজার পশ্চিম পাশের প্রায় ছয় থেকে সাত একর জমির মাটি কেটেছেন।
তাদের দাবি এ সকল জমি তিন ফসলি জমি যা আলমগীর মোল্লা খননযন্ত্র দিয়ে কেটেছেন।
যা কারণে অন্য মানুষের জমির মাটি ভেঙে যাচ্ছে।
ফলে বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা কম দামে তাঁর কাছে তাদের জমি বিক্রি করছেন।
এতে এলাকায় তিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে দিন দিন।
যার ফলশ্রুতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রামের কৃষকেরা।
গ্রামবাসীদের প্রদত্ত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, টিঘরিয়া গ্রামের আলমগীর মোল্লা খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে জমি খনন করছেন।
কসবা পৌর শহরের গুরুহিত মৌজা এলাকায় তিন ফসলি জমি থেকে তিনি এসকল মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
আর এই খননের ফলে অনেক ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করেন আলমগীর মোল্লা
টিঘরিয়া গ্রামের মো. আলমগীর মোল্লা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি দাবি করেন এলাকায় তিনি পুকুরে মাছ চাষ করেছেন।
সেই সাথে গরু ও মুরগির খামার বানিয়েছেন তিনি, যা এলাকায় কর্মসংস্থান এর সৃষ্টি করেছে।
তার দাবি নতুন কোনো ফসলি জমির মাটি তিনি কাটছেন না।
তার কেনা জমি অন্য লোকজন কিনতে না পারায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করছেন বলে তিনি মনে করেন।
অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে তিনি মনে করেন।
ইউএনও মাসুদ উল আলম অভিযোগ পাবার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তিনি জানান গুরুহিত গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছেন তারা।
অভিযান চালিয়ে একটি খননযন্ত্র জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান ইউ এন ও।
ইতিমধ্যে ফসলি জমি থেকে মাটি না কাটতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আবারও কেউ মাটি কাটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ারি প্রদান করেন।