রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার পাচগাছি ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামসহ আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামে চাষ হচ্ছে নানা ধরনের ঔষধি গাছ। ঔষধি গাছের চাষের নির্ভরতায় প্রায় দেড় হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যেসব উদ্ভিদের ভেষজ গুনাগুন ও উপাদান রয়েছে এবং রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয় অথবা উদ্ভিদগুলো থেকে সংশ্লেষিত উপাদান গুলো নানা ধরনের প্রয়োজনীয় ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহার করা হয় তাদেরকে মেডিসিনাল প্লান্ট বা ঔষধী উদ্ভিদ বলা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহায়তায় জাহাঙ্গীরাবাদ ব্যাপক আকারে চাষ হচ্ছে বাসক, অশ্বগন্ধা, তুলসি ও অর্জুন গাছ। এসব গাছের পাতা ও ডালপালা কিনে নিয়ে যাচ্ছে বড় বড় ওষুধ প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঔষধি গাছ বিক্রি করেই আয় করা সম্ভব কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা। এমনটাই মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ঔষধি গাছের বাজার এখন ৮৩ বিলিয়ন ডলারের। ২০২৬ সাল নাগাদ এ বাজার পৌঁছাবে ১৭৮.৪ বিলিয়ন ডলারে (সূত্র: গ্লোবাল নিউজওয়্যার)। এর মধ্যে শুধু চীন এককভাবে রফতানি করছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঔষধি গাছ। বিশ্বব্যাপী যত ওষুধ তৈরি হচ্ছে তার শতকরা ৩৩ ভাগই আসছে ভেষজ গাছ থেকে।
ছাবেরা বেগম জানান, বাসক, অশ্বগন্ধা, তুলসী আর অর্জুন বিক্রি করেই তার দুই ছেলেমেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেরাই গাড়ি নিয়ে এসে কিনে নিয়ে যায়। পাতা বিক্রি করতে কোনও সমস্যা হয় না।
পাচগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া জানান ঔষধি গাছের চাহিদা বাড়ায় ইউনিয়নজুড়ে এখন বাসক, তুলসি, অশ্বগন্ধা আর অর্জুনের ছড়াছড়ি। দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরাও খুশি।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, এক বিঘায় তুলসি চাষে খরচ ১০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৪০-৫০ হাজার টাকায়। সময় লাগে মাত্র ৩-৪ মাস।