Monday, 24 February, 2025

সর্বাধিক পঠিত

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গ্রিন মাল্টার কেনা বেচা জমেছে রংপুরে


রংপুরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গ্রিন মাল্টার বেচাকেনা জমে উঠেছে। অল্প জমিতে এ ফলের উৎপাদন করে লাভবান হওয়া যায়। তাই এখানকার কৃষকরা ব্যাপকহারে মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এর ফলে রংপুর অঞ্চলে মাল্টা ফলের বাগান প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরো পড়ুন
পাবদা (Ompok pabda) মাছের লাভজনক চাষ পদ্ধতি

পাবদা মাছ (Ompok pabda) বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাছ। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং চাহিদাও বেশি। সঠিকভাবে চাষ করলে Read more

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষে সফলতা
মাশরুম

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতার নজির গড়েছেন লক্ষ্মীপুরের মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রবাস জীবন শেষ করে বাড়ির আঙিনায় মাশরুমের খামার গড়ে Read more

পাইকারি বাজারে প্রতিদিন বিক্রয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা

বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতিদিন ২০০ মণেরও বেশি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে।

যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা।

এছাড়াও বাগান থেকে সরাসরি বিক্রি হওয়া মাল্টার আর্থিক মূল্যও কম নয়।

নগরীর সিটি বাজার ও এর আশেপাশে ৩০ এর অধিক পাইকারি ফলের দোকান।

এতে অন্যান্য দেশি-বিদেশি ফলের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে গ্রিন মাল্টা।

প্রতি কেজি গ্রিন মাল্টা ৭০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে।

এবারে প্রথম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেরাই আগ্রহী হয়ে গ্রিন মাল্টা কিনেছেন।

আমের মতো করে পাড়ায় পাড়ায় ফেরি করে বিক্রি করছেন গ্রিন মাল্টা।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য ২০১৬ সালে মাল্টা চাষ করা হয় কিছু প্রদর্শনীর মাধ্যমে।

কিন্তু অল্প জমিতে ভালো ফলন এবং লাভজনক হবার কারণে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বৃদ্ধি পায় মাল্টা চাষে।

২০১৯-২০ মৌসুমে এ অঞ্চলে মোট মাল্টার আবাদ হয়েছে ৯৮ দশমিক ২ হেক্টর জমিতে।

এর মধ্যে শুধু রংপুর জেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে মাল্টার আবাদ হয়েছে।

গাইবান্ধায় ৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

এছাড়া কুড়িগ্রামে আবাদ হয়েছে ৯ হেক্টর, লালমনিরহাটে আবাদ হয়েছে ২২ হেক্টর এবং নীলফামারীতে আবাদ হয়েছে ১৪ দশমিক ২ হেক্টর।

গ্রিন মাল্টা চাষে সময় লাগে কম। তাছাড়া এতে পোকা মাকড়ের উৎপাত কম হয় এবং রোগাক্রান্ত হয় কম।

কম জমিতেও করা যায় মাল্টার চাষ। এর উৎপাদন খরচও অনেক কম।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবর রহমান।

তিনি বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতি পূরণ এবং সহজ প্রাপ্তির জন্য এ ফলের চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই ফলের আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

মাল্টার আবাদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষকরা মাল্টা চাষ করে লাভবান হচ্ছে সহজেই।

আর তাই প্রতিবছর মাল্টার জমি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

0 comments on “স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গ্রিন মাল্টার কেনা বেচা জমেছে রংপুরে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ