Wednesday, 03 September, 2025

টমেটো চাষে স্বপ্ন দেখছেন খাইরুল, বাম্পার ফলনের আশা


এখনো শীত আসতে দেরি আছে। কিন্তু তার আগেই মাচায় ঝুলছে শীতকালীন সবজি টমেটো। পাহাড়ের ঢালে সবুজ আর পাকা লাল টমেটো ঝলমল করছে সূর্যের আলোয়।কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে দেখা গেছে এই চিত্র। বাণিজ্যিক টমেটো চাষে স্বপ্ন দেখছেন চাষি খাইরুল।

নারায়ণপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্র খাইরুল আলম। করোনাকালে পড়াশোনার সাথে সাথে  নিজের জমিতে বারি-৪ টমেটোর চাষ করেছেন তিনি। তার চাষে ফলনও হয়েছে খুব ভাল।

খাইরুল চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় পড়াশোনা করেন। উপজেলার ভোলদিঘি কামিল মাদ্রাসার কামিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি।

আরো পড়ুন
ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়: খামারি ও কৃষকের জন্য জরুরি নির্দেশিকা

ক্ষুরা রোগ বা ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (FMD) একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও শুকরের Read more

কাজু ও কফি: যেভাবে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি

পাহাড়ের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে কাজু বাদাম ও কফি চাষ। একসময় আমদানিনির্ভর এই দুটি ফসল এখন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ Read more

খাইরুল বলেন, নারায়ণপুর গ্রামে পাহাড়ের ঢালে ১৫০ শতক জমিতে চাষ করেছেন। আধুনিক পদ্ধতিতে পলি সেট নির্মাণ করে বারি-৪ টমেটোর চাষ করেছেন তিনি। আর এই চাষে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে তার।

আবহাওয়া ভালো থাকলে তার জমি থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ১০০ টাকা কেজি দরে তার জমি থেকে ৫০ হাজার টাকার টমেটো তিনি বিক্রি করেছেন বলে জানান।

কিভাবে শুরু করলেন

করোনার কারণে গত বছর খাইরুলের মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গেলে চাঁদপুর থেকে কুমিল্লায় বাড়িতে চলে আসেন তিনি।

কিছু একটা করে সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্য বাড়ির পাশে ছোট ছোট টিলার নিচে অনাবাদি জমিগুলো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

এর পর পরিকল্পনা করে ৫০ শতক জমি তৈরি করেন, পাশাপাশি সিলেট এর কমলগঞ্জ থেকে উন্নত জাতের বারি-৪ টমেটোর গ্রাফটিং কলমের চারা সংগ্রহ করেন।

এরপর দিনরাত পরিশ্রম শুরু করেন খাইরুল। এক সময় স্বপ্ন দেখেন তার টমেটোর বাগান নিয়ে যা এখন বাস্তব হতে চলেছে বলে তিনি মনে করেন।

গত বছর খাইরুল সফলতা পান। এই সফলতা খাইরুলকে চলতি বছর আরও আত্মবিশ্বাসী করে ও উৎসাহ জোগায়। ফলে এবছর ১৫০ শতক জমিতে টমেটো চাষের সিদ্ধান্ত নেন।

এখন তার ১৭টি পলি সেট এ  প্রায় ৬ হাজার বারি-৪ টমেটোর গ্রাফটিং কলমের চারা রোপণ করা আছে।

খাইরুল জানান, বর্তমানে জমিতে টমেটো পাকতে শুরু করেছে। এলাকায় তার জমির টমেটোর চাহিদা অনেক। ইদানীং টমেটো কিনতে পাইকাররা যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জানান, কৃষি সম্পর্কিত যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানান তারা। তারা খাইরুলকে প্রয়োজনীয় সব রকম পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।

তিনি আরও বলেন অন্য যে কেউ কৃষি কাজ নিয়ে এগিয়ে এলে সব রকমের সহযোগিতা করবে কৃষি অধিদপ্তর।

0 comments on “টমেটো চাষে স্বপ্ন দেখছেন খাইরুল, বাম্পার ফলনের আশা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ