
চলতি মৌসুমে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলে কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও বাচ্চা প্রজননে তৎপরতা বেড়েছে। বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থা নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম)-এর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার জলপাই রঙা সামুদ্রিক কাছিমের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
নেকম’র তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার উপকূলে ১২টিরও বেশি পয়েন্টে বিশেষ নার্সারিতে প্রায় ২৬ হাজার ৭৭০টি ডিম সংগ্রহ করে ফোটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এসব ডিম থেকে ইতোমধ্যে ৬ হাজারের বেশি বাচ্চা ফুটে সাগরে অবমুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার ইনানী সৈকতে ২৫০টি বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।
অন্যদিকে সেন্টমার্টিনেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা সেন্টমার্টিনবাসী’-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় তিন হাজারের বেশি কাছিমের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, “নিরাপদ প্রজননের জন্য উপকূলজুড়ে বিশেষ নার্সারি স্থাপনসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, একটি সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে মাত্র ৩৪টি স্থানে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসে, যা এক দশক আগে ছিল ৫২টি। কুকুর ও মানুষের হস্তক্ষেপে প্রজননস্থলগুলো হুমকির মুখে পড়ায় সংরক্ষণ কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম বলেন, “অলিভ রিডলি কাছিম বঙ্গোপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। সাগরের ইকোসিস্টেম রক্ষায় এর ভূমিকা অনন্য। সচেতনতা ও যত্নে এই প্রজাতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব।