বাংলাদেশের বিস্তৃত এলাকা হচ্ছে উপকূলীয় এলাকা। প্রায় ২৫ শতাংশ উপকূলীয় এলাকা রয়েছে বাংলাদেশের। এই উপকূলীয় এলাকা প্রচুর লবণাক্ত মাটি। এ এলাকার ১৮টি জেলার ১০ লাখ হেক্টরের বেশি জমি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ত। এখানকার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় এই লবণাক্ততা। উপকূলীয় এলাকা প্রচুর লবণাক্ত হবার কারণে চাষ করাও সম্ভব নয় এসব মাটিতে।
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে আয়োজিত হয় সেমিনার
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে আজ রোববার ঢাকার একটি হোটেলে কৃষি মন্ত্রণালয় একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়।
আয়োজিত এই সেমিনারে এ সকল তথ্য তুলে ধরা হয়।
এই সেমিনারে ‘সয়েল অ্যাটলাস অব বাংলাদেশ’ নামে একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করা হয়।
বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এই বইটি বের করেছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সে কারণে উপকূলের লবণাক্ত এলাকা, হাওর অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করা হচ্ছে।
বিশেষ করে প্রতিকূল পরিবেশ রয়েছে এমন এলাকার জমিতে ফসল উৎপাদনে সরকার এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
এই সেমিনার আয়োজন করা হয় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), মৃত্তিকা বিজ্ঞান সমিতি এবং প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশের সহযোগিতায়।
লবণাক্ততা নিয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য
এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে লবণাক্ততার উপর প্রতিপাদ্য স্থির করা হয়।
এই প্রতিপাদ্য হলো ‘লবণাক্ততা রোধ করি, মাটির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করি’।
কৃষিমন্ত্রী এই প্রতিপাদ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, দেশে লবণাক্ততা একটি বড় সমস্যা।
জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে লবণাক্ত জমির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে ভবিষ্যতে।
এ অবস্থায় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা স্থিতিশীল ও টেকসই রাখতে হবে।
উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে ফসলের চাষযোগ্য জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে ও ছড়িয়ে দিতে হবে সবখানে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিধান কুমার ভান্ডার।
এই সেমিনারে সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, এফএওর বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন সহ প্রমুখ।