Friday, 29 March, 2024

সর্বাধিক পঠিত

মাছ চাষে উকুনের সমস্যা সমাধানে করনীয়


Argulas Fish Lice

মাছ চাষে আরগুলাস নামক এক ধরনের বহিঃপরজীবির দ্বারা মাছ আক্রান্ত হলে আমরা একে মাছের উকুন হয়েছে বলে থাকি।

সব ধরনের  বায়োফ্লক, একুয়ারিয়াম এবং পুকুরে মাছ চাষে এই আরগুলাস নামক পরজীবির আক্রমন হতে পারে।

একুয়ারিয়ামে মাছের উকুন বেশি দেখা দিলে ও পুকুরের মাছ চাষে আরগুলাস যথেষ্ট ক্ষতির কারন হিসাবে গননা করা যায়।

আরো পড়ুন
করলার লাভজনক চাষ পদ্ধতি
লাভজনক করলা চাষ

করলার লাভজনক চাষ চাষ পদ্ধতি করলার ইংরেজি নাম Gourd, আমাদের দেশে করলা গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বর্তমানে করলা বার মাসই বাজারে Read more

বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ

বাগদা চিংড়ির (ব্ল্যাক টাইগার) চেয়ে ভেনামির উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। তারপরও বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ ? Read more

অনেক সময় আরগুলাস বা উকুনের আক্রমন হলেও আমরা ব্যাকটেরেয়াকে দোষ দিয়ে এন্টিবায়োটিক চালিয়ে দেই।

উকুনের আক্রমনে মাছের উৎপাদন হার কমানো এবং খাবার নষ্ট হওয়া, অনেক ধরনের বিপদে চাষিদের পড়তে দেখা যায়।

আজকের আলোচনার বিষয় মাছ চাষের বায়োফ্লকে, একুয়ারিয়ামে এবং পুকুরে উকুনের সমস্যা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে।

মাছ চাষে উকুন কি ?

লেখার শুরুতেই আলোচনা হয়েছে আরগুলাস নামক এক ধরনের বহিঃপরজীবির দ্বারা মাছ আক্রান্ত হলে মাছের উকুন বলা হয়।

কখন মাছের উকুন বেশি দেখা যায় ?

মাছের উকুন মার্চ থেকে আগষ্ট মাসে বেশি প্রভাব বিস্তার করে।

মাছের উকুন হলে কি লক্ষণ দেখা যায় ?

রুই কাতলা সহ প্রায় সব কার্প মাছের এ রোগ দেখা যায়। ছবিতে উকুনের শক্ত পা দিয়ে মাছের গায়ে লেগে

Argulas- Fish Lice
Argulas- Fish Lice

আরগুলাস নামক বহিঃপরজীবী দ্বারা মাছ আক্রান্ত হয়। মাছের দেহের রক্ত চুষে ক্ষত সৃষ্টি করে। দেহ পৃষ্ঠ ও পাখনায় উকুন লেগে থাকে।

শক্ত কিছু পেলে মাছ দেহ ঘষে। মাছ লাফালাফি করে। দেহ থেকে রক্তক্ষরণ হয়। পরজীবী খালি চোখে দেখা যায়। মাছ ক্লান্তহীনভাবে সাঁতার কাটে। আক্রান্ত স্থানের চারপাশ লালচে বর্ণ হয়।

মাছের উকুন রোগে করনীয় কি ?

আরগুলাস প্রতিরোধের উপায় হিসাবে নিচের কাজ গুলো করতে হবে-

পুকুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।

প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন দেয়া।

জৈবসার প্রয়োগ কমিয়ে দেয়া।

আক্রান্ত মাছ পুকুর থেকে সরানো।

আরগুলাস প্রতিকারে করনীয়

ডিপটারেক্স (ডাইলকস, নেগুভন, টেগুভন) ০.৫ পিপিএম হারে পুকুরে প্রয়োগ করা।

সপ্তাহে একবার ও পরপর ৫ বার অথবা ০.৮ পিপিএম হারে সুমিথিয়ন প্রয়োগ করা।

প্রতি সপ্তাহে একবার ও পরপর ৫ বার অথবা ০.২৫ পিপিএম পটাশ দ্রবণে   ৫-৬ মিনিট গোসল করাতে হবে।

6 comments on “মাছ চাষে উকুনের সমস্যা সমাধানে করনীয়

শাকিল

মাছে উকুন হয়েছে।।।।এখন কি লবন আর পটাশ মিক্স করে দিতে পারবো???

Reply
এগ্রোবিডি২৪

দিতে পারবেন। সুমিথিয়ন অথবা সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের উকুন নাশক দুই ডোজে ব্যবহার করেন।

Reply
joy

পুকুরে গলদা চিংড়ি থাকলে করনীয় কি উকুনের ঔষাধে গলদার কোন ক্ষতি হবে কি?

Reply
এগ্রোবিডি২৪

পুকুরে চিংড়ি মাছ থাকলে উকুন মারার ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কাচা গবর ব্যবহার করা যাবে। এবং নিয়মিত কম পিপিএম এ লবন প্রয়োগ করতে হবে।

Reply
Nurul Haque

Thank you for the nice informative written.

Reply
রতন

মাছের ও উকুন হয়! জানা ছিলোনা 🙂 ধন্যবাদ

Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *