Thursday, 12 December, 2024

সর্বাধিক পঠিত

পুকুরে অ্যামোনিয়া (Ammonia) নাইট্রোজেনের (Nitrogen) পরিমান নিয়ন্ত্রনে করনীয়


Nitrogen problem in the pond

পুকুরে মাছের শরীরে লাল দাগ হয়ে গেছে, মাছ ঠিক ভাবে খাবার খায় না ? পুকুরের পানির রং তামাটে বা কালো রঙের? অনেক চাষি বুঝতে পারে না কি করবেন। আসুন আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে পুকুরে নাইট্রোজেন (Nitrogen) বা অ্যামোনিয়া (Ammonia) উপস্থিতি টের পাবেন।

পুকুরে নাইট্রোজেনের ও অ্যামোনিয়া পরিমান নিয়ন্ত্রনে করনীয় কি ?

পানির রং কালচে অথবা তামাটে হয়ে গেলে বুঝতে হবে পানিতে অ্যামোনিয়া বেড়ে গেছে। মাছের অ্যামোনিয়া সহনীয় মাত্রা <০.৪ মি গ্রাম/ লিটার ।

আরো পড়ুন
রাজশাহীতে কেটে ইলিশ বিক্রি দাম ১৬০০ টাকা হতাশ ক্রেতা

রাজশাহীর বাজারে কাটা ইলিশ কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে নগরের সাহেববাজারে ইলিশ কেটে বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। রাজশাহীতে ইলিশ Read more

একুরিয়ামে মাছ পালনে করনীয়
Aquarium fish

একুরিয়ামে পালনযোগ্য বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে। গাপ্পি (Guppy), ছোট, রঙিন মাছ যা খুবই সহজে পালনযোগ্য, গোল্ডফিশ (Goldfish), প্রাচীন ও জনপ্রিয় Read more

নাইট্রাইট এর পরিমাণ বেড়ে গেলে মাছের রং বাদামি রং ধারন করে।এর থেকে বেশি হলে মাছ এলোমেলো ভাবে ছুটাছুটি করে এবং অনেক সময় মৃত্যু বরন করে।

নাইট্রোজেন (Nitrogen) এবং অ্যামোনিয়ার (Ammonia) উৎসঃ

মাছ চাষ অধিক লাভজনক করতে দ্রুত মাছের বৃদ্ধির জন্য অধিক প্রোটিন (Protein) সমৃদ্ধ খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

অনেক সময় অব্যবহৃত খাদ্য এবং মাছের মল পানিতে পচে নাইট্রোজেন এর বিভিন্ন যৌগ যেমন অ্যামোনিয়া ও নাইট্রাইট ইত্যাদি উৎপন্ন হয়।

পানিতে এসব যৌগ বেড়ে গেলে মাছের উপর পীড়ন বৃদ্ধি পায়। অ্যামোনিয়ার পরিমাণ ০.০৫ মিলি. গ্রা./লি. এর বেশি হলে মাছের ফুলকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

নাইট্রাইট এর পরিমাণ বেড়ে গেলে মাছের রং বাদামি রং ধারন করে। পানিতে এসব নাইট্রোজেন এর যৌগ বেড়ে গেলে পানির স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়, মাছ ঠিক মত খাবার খায় না এবং ফলে মাছ দুর্বল হয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে।

পুকুরে নাইট্রোজেনের ও অ্যামোনিয়া পরিমান নিয়ন্ত্রনে করনীয়

পুকুরে নাইট্রোজেনের ও অ্যামোনিয়া সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী হল অ্যামোনিয়া হ্রাসকারক (যেমন- পন্ডক্লিন, ইউকা গোল্ড) ব্যবহার করা।

পুকুরের পানি প্রতি ১০-১৫ দিন পর পর আংশিক পরিবর্তন করতে হবে।

জলাশ্বয়ের তলা থেকে ১০-২০% পানি বের করে দিতে হবে। তলার পানি বের করলে তলা থেকে পানির সাথে অপদ্রব্যগুলো বের হয়ে যাবে।

পুকুরের তলার পানি বের করে নতুন করে পুকুরে পরিষ্কার পানি দিতে হবে। গ্যাস দূর করার জন্য বাজারে প্রাপ্ত গ্যাস দূর করার ট্যাবলেটও ব্যাবহার করা যায়।

জলাশ্বয়ের তলদেশের মাটি আলগা করে দিলেও বিষাক্ত গ্যাস দূর হয়। এ জন্য পুকুরে নির্দিষ্ট সময় পর পর হররা টানতে হবে।

সাধারণত রৌদ্রজ্জ্বল দিনে যখন পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকে, তখন হররা টানতে হয়।

এছাড়া নিয়মিত প্রতি মাসে ৩০০-৩৫০ গ্রাম শতাংশ হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে। এবং সপ্তাহে একদিন খাবার বন্ধ রাখতে হবে।

0 comments on “পুকুরে অ্যামোনিয়া (Ammonia) নাইট্রোজেনের (Nitrogen) পরিমান নিয়ন্ত্রনে করনীয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *