Wednesday, 14 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

তেল গ্যাসের পর এবার সারের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত


গতকাল ১৪ ই ফেব্রুয়ারি সকালে সচিবালয়ে সারের মজুদ, দাম, ভর্তুকিসহ সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সারের দামে সরকার কৃষক পর্যায়ে বাড়ানোর কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়েছে তিন গুণের বেশি। তবে এখন পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যেই সার সরবরাহ করছে সরকার।ফলে চলতি অর্থবছরে ২৮ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। এ অবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয় ভর্তুকি ব্যয় কমানোর বিষয়ে চাপ দিচ্ছে।ফলে কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই।আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারেও দাম বাড়তে পারে।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরকার উভয়সংকটে। আমরা চিন্তা করছি, পর্যালোচনাও চালিয়ে যাচ্ছি। একদিকে এ ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন ব্যাহত হবে, অন্যদিকে সারের দাম বাড়ালে কৃষকের কষ্ট বাড়বে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে, খাদ্যোৎপাদন ব্যাহত হবে এবং খাদ্যপণ্যের দাম আরো বেড়ে যেতে পারে। সব দিক বিবেচনা করে আমরা নীতিগতভাবে এখনো সারের দাম না বাড়ানোর পক্ষে। আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। তবে দাম না কমলে এ বিশাল অংকের ভর্তুকি অব্যাহত রাখা কঠিন হবে। প্রয়োজনে সারে ভর্তুকির পরিমাণ কমানো বা সারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, মিডিয়া কর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়া হবে।

আরো পড়ুন
জামালপুরের মেলান্দহে বোরো ধানে ‘কারেন্ট পোকা’র আক্রমণে বিপর্যস্ত কৃষকরা

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কৃষকরা বোরো ধান কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে ভয়াবহ এক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। স্থানীয়ভাবে ‘কারেন্ট পোকা’ নামে পরিচিত Read more

বোরো ধানের দাম বেড়ে কৃষকদের মুখে হাসি

গত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের চাষাবাদে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। কৃষি বিপণন বিভাগ (ডিএএম) এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে Read more

তেল গ্যাস এবং সারের দাম

কভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য গত বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। তাছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় জাহাজ ভাড়াও দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া সার আমদানি ব্যয় ছিল ৩২ টাকা। সেটি চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন তিন গুণ বেড়ে উন্নীত হয়েছে ৯৬ টাকায়। একই সময়ে টিএসপির ব্যয় ৩৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা, এমওপি ২৩ থেকে হয়েছে ৫৪ টাকা। ডিএপি সারের দাম ৩৭ থেকে ৯৩ টাকায় উন্নীত হয়েছে। অথচ ব্যয় বাড়লেও দাম বাড়ায়নি। ব্যয় বাড়লেও কৃষকদের বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে না। কৃষক আগের দামেই প্রতি কেজি ইউরিয়া পাচ্ছেন ১৬ টাকায়, টিএসপি ২২, এমওপি ১৫ ও ডিএপি ১৬ টাকায়। ফলে বর্তমানে ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ইউরিয়ায় ৮২ টাকা, টিএসপিতে ৫০, এমওপিতে ৪১ ও ডিএপিতে ৭৯ টাকা বলেন কৃষি মন্ত্রি।

মতবিনিময়কালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব বলাই কৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 comments on “তেল গ্যাসের পর এবার সারের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ