Tuesday, 19 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

তরমুজের দামে হতাশ কৃষক লাভে আড়ৎদার


রমজান ও তাপদাহের কারণে রসালো ও পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ তরমুজের চাহিদা বেশী। রমজানের চাহিদার কারনে তরমুজের বাজার চড়া, প্রতিকেজি তরমুজ মানভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ তারা এ ফলটি ক্রয় করে পিছ হিসেবে। তবে একটি তরমুজ ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া উচিত বলে ক্রেতারা মনে করেন।

খুলনা নগরীর কদমতলা পুরাতন রেলস্টেশনের পাশে ২২ দোকানে এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন এ দোকানগুলোতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি, ভোলা, চরকাজল, চরবিশ্বাস ও চরমোন্তাজ থেকে ৫০ হাজারের বেশী তরমুজ আসছে। তবে খুলনাঞ্চলের কৃষককেরা এখনও এ ফলটি কাটেনি। যে কারণে এর দাম একটু বেশী।

কদমতলা পুরাতন রেলস্টেশনের গাজী ফল ভান্ডারের হিসাব রক্ষক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, খুলনাঞ্চলের তরমুজ এখনও বাজারে আসেনি। আসতে ১০ দিনের বেশী সময় লাগবে। বর্তমানে বাজারে যে তরমুজ দেখা যায় সেগুলো পটুয়াখালীর তরমুজ। সেখানে এবার ফলন ভাল হয়নি।

আরো পড়ুন
দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে চমক দেখালেন কৃষক মুক্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে উদ্ভাবনী সাফল্য দেখিয়েছেন। সালথা উপজেলা পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত Read more

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে
স্বস্তি নেই সবজির বাজারে

রাজধানীর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। একদিকে কিছু পণ্যের দাম কমলেও অন্যান্য অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল Read more

তরমুজ_Water Melon

আমদানিও কমে গেছে। ক্ষেতেলরা বলছে গাছে ভাইরাস লাগার কারণে উৎপাদন কমে গেছে। তাছাড়া মৌসুমে নতুন আসায় এ ফলটির বাজার বেশ চড়া। তারা এখানে কমিশন ভিত্তিক ব্যবসা করে। নগরীর ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পিছ হিসেবে তরমুজ ক্রয় করে।

নগরীর ডাকবাংলা মোড়ের ব্যবসায়ী আল আমিন মানভেদে প্রতিকেজি তরমুজ ৪০ টাকা ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন। এত দাম নিয়ে বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তরমুজ পচনশীল ফল। বেশীদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়না।

পাইকারী ব্যবসায়ীর বড় তরমুজের ভেতর ছোট তরমুজ ঢুকিয়ে দিয়ে বেশী দামে বিক্রি করে। সেটির দাম ওঠাতে গিয়ে আমাকে এ দামে বিক্রি করতে হয়। পাইকাররা সংবাদকর্মী জেনে তথ্য গোপন করেছে। সেখানে দাম না বলে তরমুজ ধরা যায়না।

পিটিআই মোড়ের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী শরীফ বলেন, তরমুজের ব্যবসা জুয়া খেলার মতো। পাকা ভেবে ক্রয় করে এনে ভেতরে দেখা যায় সাদা। তখন ক্রেতারা ফলটি নিতে চায়না। কাটা তরমুজটি ফেলে দিতে হয়। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশী দামে বিক্রি করতে হয়। বাজারে খুলনাঞ্চলের তরমুজ আসলে এর দাম কমে যাবে।

রমজানের ক্রেতাদের আশা একটু কম দামে তরমুজ খাবে কিন্তু আড়ৎদার দের দৌরত্বে ক্রেতার নাভিশ্বাস।

0 comments on “তরমুজের দামে হতাশ কৃষক লাভে আড়ৎদার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা