গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। লাভজনক পশু খামার পরিচালনা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত:
১. পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ:
গবাদিপশুর সুষম খাদ্য তাদের স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সুষম খাদ্য: খাদ্যে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, ও খনিজ পদার্থ থাকতে হবে।
একটি সুষম খাদ্য মিশ্রণ
- শস্য ও দানা খাদ্য: ৪০%
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য: ৩০%
- মিনারেল মিশ্রণ: ২%
- সবুজ ঘাস: ১০%
- খড় ও শুকনো ঘাস: ১৫%
- মোলাসেস ও অন্যান্য পরিপূরক: ৩%
- সবুজ ঘাস ও খড়: পশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ ঘাস ও খড় খাওয়াতে হবে।
- নির্দিষ্ট পরিমাণে দানা খাদ্য: প্রয়োজন অনুযায়ী দানা খাদ্য (যেমন গম, ভুট্টা) দিতে হবে।
- অন্যান্য খাদ্য: যেমন সয়াবিনের খোল, তিলের খোল, সরিষার খোল ইত্যাদি।
২. পানি সরবরাহ:
- পর্যাপ্ত এবং পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করতে হবে যাতে পশুরা সবসময় পানি পান করতে পারে।
৩. স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা:
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: পশুর স্বাস্থ্য নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে।
- টিকা ও ওষুধ: রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত টিকা দিতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
- পরজীবী নিয়ন্ত্রণ: গবাদি পশুকে পরজীবীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত পরজীবী নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. আবাসন ব্যবস্থা:
- পর্যাপ্ত স্থান: পশুর আবাসন জায়গা যথেষ্ট বড় ও আরামদায়ক হতে হবে।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: পশুর থাকার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
- আলো ও বায়ু চলাচল: পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৫. সঠিক ব্যবস্থাপনা:
- পশুর দেখাশোনা: প্রতিদিন পশুর সঠিক দেখাশোনা করতে হবে।
- শারীরিক ব্যায়াম: পশুকে পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়ামের সুযোগ দিতে হবে যাতে তাদের শরীর সুগঠিত হয়।
এই সব ব্যবস্থা মেনে চললে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট ও সুস্থ থাকবে, যা তাদের দুধ ও মাংসের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হবে।