Thursday, 25 April, 2024

সর্বাধিক পঠিত

ঔষধি বৈশিষ্ট্যের কালো জাম, জেনে নিন তার গুণ


ঔষধি বৈশিষ্ট্যের কালো জাম এর ঔষধি গুণ অনেক

একটি অতি পরিচিত মৌসুমি ফল কালো জাম। গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও জুন, জুলাই বা আগস্ট মাসেও পাওয়া যায়কালো জাম। একটি অতি সুস্বাদু গ্রীষ্মমন্ডলীয় পুষ্পের মতো ফল। এটি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ ফল। ঔষধি বৈশিষ্ট্যের কালো জাম এর ঔষধি গুণ রয়েছে। এর অনন্য রঙ এবং স্বাদ বেশিরভাগ মিষ্টি ও সামান্য পরিমাণে টক। অন্যান্য ফলগুলোর তুলনায় ঔষধি বৈশিষ্ট্যের কালো জাম স্বাস্থ্যকর এবং এতে আছে প্রয়োজনীয়  পুষ্টি।

বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান আছে কালো জামে।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ভিটামিন সি।

জাম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অতুলনীয়ভাবে কাজ করে।

এছাড়া জাম শরীরের হাড়কেও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়:

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কালো জাম খুব সাহায্য করে।

জামের মধ্যে গ্লিসামিক ইনডেক্স এর পরিমাণ কম।

একারণে এটি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো বলে বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত হয়েছে।

একটি গবেষণায় জানা যায় যে, জামের ডায়াবেটিক বিরোধী গুণ আছে।

জামের বীচি রক্তের সুগার লেভেল ৩০ ভাগ পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করে বলেও আরেকটি গবেষণা জানিয়েছে।

ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় এই ফলটির ব্যবহার ক্রমাগতই বাড়ছে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ফল:

জামে থাকে এলাজিক এসিড, এন্থোসায়ানিন এবং এন্থোসায়ানিডিন্স।

শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এই উপাদানগুলো কাজ করে বলে কোলেস্টেরলের জারণ রোধ করে।

সেই সাথে হৃদরোগ সৃষ্টিকারী প্লাক গঠনে বাধা প্রদান করে।

এছাড়াও কালো জাম হাইপারটেনশন প্রতিরোধে সাহায্য করে।

এতে থাকা প্রচুর পরিমাণের পটাসিয়াম হাইপারটেনশন কমায়।

১০০ গ্রাম জামে প্রায় ৫৫ গ্রাম পটাসিয়াম থাকে এটি প্রদাহরোধী হিসেবে কাজ করে।

ইনফেকশন কমায়:

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় জাম গাছের বাকল, পাতা ও বীজ ব্যবহার করা হয়ে আসছে।

এই গাছে ম্যালিক এসিড, গ্যালিক এসিড, অক্সালিক এসিড এবং ট্যানিন থাকে।

যার ফলে জাম উদ্ভিদ ও এর ফল ম্যালেরিয়া রোধী, ব্যাকটেরিয়ারোধী এবং গ্যাস্ট্রোপ্রোটেক্টিভ হিসেবে কাজ করে।

পরিপাক তন্ত্রের রোগ নিরাময়:

আয়ুর্বেদিক ঔষধে ডায়রিয়া ও আলসার নিরাময়ে জাম পাতা ব্যবহার করা হয়।

মুখের স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যার ঔষধ তৈরিতেও জামপাতার ব্যবহার হয়।

তাছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূরীকরণে, দাঁত ও মাড়ি শক্ত ও মজবুত করে জাম।

একইসাথে দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।

ক্যান্সার এর ঝুকি কমায় কালোজাম:

জাম ফলের নির্যাসে রেডিওপ্রোটেক্টিভ উপাদান থাকে বলে জানায় একটি গবেষণা।

ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্রি র‍্যাডিকেলের কাজ ও বিকিরণে বাধা দেয় জামের নির্যাস।

0 comments on “ঔষধি বৈশিষ্ট্যের কালো জাম, জেনে নিন তার গুণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *