Tuesday, 06 June, 2023

সর্বাধিক পঠিত

মুরগীর ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) কেন হয় এবং করনীয়?


Brooder Pneumonia

মুরগির ব্রুডিংকালিন (Brooding time) সময়ে এটি একটি অন্যতম রোগ যা প্রধানত কিছু অসচেতনতার জন্য হয়ে থাকে।

মূলত,অ্যাসপারজিলাস ফিউমিগেটাস (Aspergillus fumigtus) নামক ছত্রাকের স্পোর এই রোগের কারন৷

আরো পড়ুন
হঠাৎ পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা
মুড়ি পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে কৃষক

দেশে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা। পাইকারি বাজারে ২ দিনের ব্যবধানে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। Read more

সিলেটে ২ হাজার ৯৯ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষ, আশাবাদী কৃষক

সিলেটে কৃষকের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠছে চিনাবাদাম। সিলেটে ২ হাজার ৯৯ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষ। চিনাবাদাম ফলিয়ে লাভবানও হচ্ছেন কৃষক। Read more

ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) কেন হয়?

▶সাধারণত কাঠের গুড়া লিটার হিসেবে ব্যবহার করা হলে এটি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

▶এমোনিয়া বেশি থাকলে।

▶ঠান্ডা আবহাওয়া।

▶ভেন্টিলেশন সমস্যা।

▶খামারের পরিবেশ নোংরা  থাকলে।

ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) কিভাবে ছড়ায়?

▶স্পোর দিয়ে দূষিত খাদ্য বা লিটার সামগ্রীর সংস্পর্শে অথবা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে স্পোর গ্রহণে মুরগীর বাচ্চা এই রোগে আক্রান্ত হয়৷

▶স্পোর ডিমের খোসা ভেদ করে ভেতরে যেতে পারে।

▶বাচ্চা পরিবহনের সময় সংক্রমিত বাক্স থেকে আক্রান্ত হতে পারে।

ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) লক্ষণ (Symptoms):

Brooder Pneumonia
Brooder Pneumonia

▶শ্বাস কস্ট।

▶মুখ হা করে ঘনঘন নিঃশ্বাস নয়।

▶কোন কোন সময় জ্বর হয়।

▶খাবারের রুচি কমে যায় কিন্তু বারবার পানি খায়।

▶ঘুমানো ভাব এবং বাচ্চা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

▶শ্বাসকষ্টের কারনে বাচ্চা মুখ হা করে ঘাড় ও মাথা উপরের দিকে টান করে শ্বাস গ্রহণ করে৷

ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) পোস্ট মর্টেমঃ

Brooder Pneumonia clinical postmortem
Brooder Pneumonia clinical postmortem

ফুসফুস ও এয়ারস্যাকে এমন কি ট্রাকিয়ায় বিভিন্ন সাইজের ও শক্ত নডিউল দেখা যায়।

ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) প্যাথোজেনেসিস (pathogenesis):

এটি শ্বাসনালীর রোগ যা পালমোনারি রুপে পরিচিত,এই রুপটাই বেশি দেখা যায়।

➡এটি ২ ভাবে হয়

✳তীব্র মানে একিউট যা বাচ্চাতে হয়।

এতে অনেক মরবিডিটি ও মরটালিটি হয়,৫-৫০%।

✳ক্রনিক যা বয়স্ক মুরগিতে হয়।

তাছাড়া আরো কিছু রুপ আছে।

▶অস্টিওমাইকোসিস যার ফলে বাচ্চা প্যারালাইসিস হয়।

▶অফথালমাইটিস যার ফলে কংজাংটিভা এবং চোখে চিজি বা প্যাল্প জমা হয়।

▶এনসেফালাইটিস , Ataxia, opisthotonos, paralysis, falling, pushing over backwards.

এটি ছোয়াচে না, মানে মুরগি থেকে মুরগিতে ছড়ায় না।

ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) প্রতিরোধঃ

▶১ম ৭-১০ দিন তুষ ব্যবহার করা বা তাদের মিক্সার ব্যবহার করা।

▶কাঠের গুড়া ব্যবহার করলে তাতে তুতে এবং নিম পাতা গুড়া ব্যবহার করা।

▶বেশি শুকনা হলে জীবানূনাশক বা পানি দিয়ে স্প্রে করা এবং ভিজা হলে শুকিয়ে নেয়া।

▶ফ্লোর জিবানু মুক্ত রাখা।

▶হ্যাচারীর ইনকিউবেটর ও হ্যাচার এবং অন্য সকল কিছু জীবাণুমুক্ত  রাখা।

ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) প্রতিকার:

✅রেজিস্ট্যার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ মত দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

✅ রসুনের রস ভাল কাজ করে।
✅ তুতে খাওয়ানো যেতে পারে

0 comments on “মুরগীর ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia) কেন হয় এবং করনীয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

সাম্প্রতিক প্রশ্ন

error: Content is protected !!