ডায়াবেটিস এর সঙ্গে পরিচিত প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে এমন অধিকাংশ মানুষ। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে যে, ডায়াবেটিস হচ্ছে খুব কঠিন একটি রোগ। এটি কখনোই সম্পূর্ণ ভাবে সেরে উঠে না। তবে এই রোগকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। মিষ্টি আলু এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। এটি তরকারি, ভর্তা, মিষ্টি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এমন একটি সবজি। পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলু কাজ করে বিভিন্ন রোগের উপশমে।
মিষ্টি আলু বিভিন্ন রঙের যেমন সাদা, বেগুনি, কমলা ও হলুদ ইত্যাদি হয়ে থাকে।
তবে বেগুনি ও সাদা রঙের আলুই দেখা যায় অধিকাংশ অঞ্চলে।
খাবারের স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এই সবজি শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি দিয়ে সহায়তা করে।
মিষ্টি আলু ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রন করে
এটি খেতে মিষ্টি। আর এ কারণে অনেক ডায়াবেটিস রোগীই মিষ্টি আলুকে এড়িয়ে চলেন।
কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এই সবজিই অনেক সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সেই সঙ্গে মিষ্টি আলু হজমের সমস্যাও দূর করে।
এই সবজিতে ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
এই ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে হজম শক্তিতে।
তাছাড়া এটি খাওয়ার পর শরীর দীর্ঘক্ষণ ঠাণ্ডা থাকে। সেই সাথে দীর্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি থাকে।
এই সবজির কারণে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং হ্রাস করে ওবেসিটি।
অনেকেরই মলত্যাগে সমস্যা হয় হজমজনিত সমস্যার জন্য।
ডায়েটে যদি মিষ্টি আলু রাখা হয় তাহলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলবে।
মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি, সি, ডি, ই ও কে।
আমাদের শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেন্টরি উপাদান হিসেবে কাজ করে।
সেই সাথে বিভিন্ন সমস্যা দূর করে সুস্থ রাখে শরীরকে।
মিষ্টি আলুতে ক্যারটেনয়ডস নামের উপাদান থাকে।
এই উপাদান কোষের ক্ষয় রোধ করে।
তাছাড়া এতে ভিটামিন-ই ও সি থাকে। এতে ত্বক ও চুল থাকে সুস্থ।
কিছু কিছু গবেষণা অবশ্য দাবি করে যে, মিষ্টি আলুতে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান থাকে।
এতে থাকা অ্যান্থোক্যায়ানিন ব্লাড ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার এবং গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার রোধে কাজ করে।
অ্যান্থেক্যায়ানিন ক্যানসার কোষরে মেরে ফেলে।
আর এতে থাকা ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দিনে একবার অল্প পরিমাণ করে মিষ্টি আলু খাওয়া যেতে পারে।
তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা মিষ্টি আলু দূর করে।