Thursday, 12 September, 2024

সর্বাধিক পঠিত

খুব সহজেই কবুতর পালন করে হতে পারেন স্বাবলম্বী


কবুতর অনেকেই শখের বশে পালন করেন। দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবেও কেউ কেউ কবুতর পালন করছেন। বিশেষ করে কবুতর পালন বেকারত্ব দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। কবুতর পালন করার সুবিধা এতে বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। খুব সহজেই কবুতর পালন করে কম খরচে অল্প সময়ে বাচ্চা পাওয়া যায়। বাজারে এর দামও বেশি। তাই খুব সহজেই কবুতর পালন করে ভালো আয় করা সম্ভব।

কবুতরের বিভিন্ন জাত রয়েছে

পৃথিবীতে ৬০০ জাতের কবুতর রয়েছে। উন্নত জাতের দেশি কবুতর হল ‘জালালি কবুতর’।

আরো পড়ুন
বন্যায় বাংলাদেশের কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ ৪০০০ কোটি টাকা
সুনামগঞ্জে বন্যা

২০২৪ সালের বন্যায় বাংলাদেশের কৃষি খাতে মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪০০০ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন্যার কারণে প্রায় Read more

নরম দেহের কাঁকড়া (soft-shell crab) চাষ পদ্ধতি
crab culture

বাংলাদেশ থেকে বিদেশে রপ্তানি করা মৎস্য সম্পদের মধ্যে চিংড়ির পরই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় পণ্য হচ্ছে কাঁকড়া। এর মধ্যে কাঁকড়ার শক্ত Read more

এ ছাড়াও হোয়াইট কিং, টেক্সেনা, সিলভার কিং, হামকাচ্চা, কাউরা, হোমার, গোলা, ডাউকা, লক্ষ্যা ও পক্কা উল্লেখযাগ্য কবুতরের জাত।

গিরিবাজ কবুতর
গিরিবাজ কবুতর

আমাদের দেশে শখের বশে বেশি চাষ করা হয় সিরাজী, ময়ুরপঙ্খী, লাহোরি, ফ্যানটেইল, জেকোভিন, মুখি, গিরিবাজপ্রভৃতি কবুতর।

সিরাজি কবুতর

উড়ন্ত অবস্থায় ডিগবাজি খেয়ে গিরিবাজ কবুতর মানুষের নজরকাড়ে।

কবুতরের ঘর তৈরি

উঁচু ও শক্ত ঘর তৈরি করতে হবে যেন ক্ষতিকর প্রাণী ও পাখি কবুতরকে খেয়ে ফেলতে না পারে। .

হালকা কাঠ, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই, শন, পলিথিন, খড় ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে কবুতরের ঘর বানানো যায়।

এক বর্গফুট করে ঘর হলেই প্রতি জোড়া কবুতরের জন্য চলে।

কবুতরের ঘর কয়েক তলা করা যেতে পারে।

ঘরের সামনে ৫ থেকে ৬ ইঞ্চির বারান্দা অবশ্যই রাখতে হবে।

প্রতি ঘরের দরজা ৪ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি রাখতে হবে।

যত্ন

সব সময় ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।

ডিম পাড়ার সময় যাতে সহজেই খড় সংগ্রহ করতে পারে সে দিকে খেয়াাল রাখতে হবে।

এ জন্য কবুতরের ঘরের আশপাশে খড় রেখে দিতে হয়।

ঘর সবসময় শুকনো রাখতে হবে।

খাবার

সাধারণত জোয়ার, ভুট্টা, ধান, চাল, কলাই, কাউন, মটর, খেসারি, সরিষা, গম ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

কবুতরের জন্য প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যে গম ভাঙা ২০ গ্রাম, সরিষা দানা ১৫ গ্রাম,ভুট্টা ভাঙা ৩৫ গ্রাম, ছোলা ভাঙা ২০ গ্রাম,  চালের কুঁড়া ৪.৫ গ্রাম, লবণ ০.৫ গ্রাম,সয়াবিন ভাঙা ৫ গ্রাম,থাকতে হয়।

রোগ

কবুতরের বসন্ত রোগে আক্রান্ত হলে পালকবিহীন স্থানে ফোস্কা পড়ে।

রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত কবুতরের টিংচার আয়োডিন বা স্যাভলন প্রয়োগ করতে হয়।

চার সপ্তাহ বয়সে পিজিয়ন পক্স টিকা বুকে ও পায়ের পালক তুলে সিরিঞ্জ দিয়ে দিতে হবে।

রোগের আশঙ্কা করলে দ্রুত ব্যবস্থা্ নিতে হবে।

পানিতে মিশিয়ে ই.এস.বি-৩ আ এমবাজিন জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে।

ঠিকমতো কবুতরের যত্ন নিলে এটি পালন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।

0 comments on “খুব সহজেই কবুতর পালন করে হতে পারেন স্বাবলম্বী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *