জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরে তার কাছে বাংলাদেশকে কৃষি জমি দেবার প্রস্তাব করে দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধি দল। মধ্য আফ্রিকার এই দেশ চায়, বাংলাদেশ কৃষি পণ্য উৎপাদন করুক সেই জমি ব্যবহার করে। বাংলাদেশকে কৃষি জমি দেবার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলে নিয়েছেন। গভীরভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই ও ব্যবস্থা গ্রহণে তিন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও কৃষি- এই তিন মন্ত্রনালয়কে এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে একটি প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়।
এই প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে যোগ দেন।
দ: সুদানে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের ওপর মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এর পর ২০১১ সালে বিশ্বের মানচিত্রে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়।
একই বছরের ৯ জুলাই দেশটি জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৩তম দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
দেশটির আয়তন ৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৫ বর্গ কিলোমিটার। দেশটিতে ১ কোটি ১০ লাখের কিছু বেশি জন।
বিষয়টি দীর্ঘক্ষণ বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তারা (দক্ষিণ সুদানের প্রতিনিধিরা) বলেছেন, অনেক জমি পতিত পড়ে আছে তাদের দেশে।
বাংলাদেশ যদি চায় তবে কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য জমি ব্যবহার করতে পারে।
বাংলাদেশ আগ্রহ দেখালে তারা জমি দেবে।
সেজন্য তিন মন্ত্রণালয়কে একত্রে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশটিতে কৃষিপণ্য উৎপাদন হলে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যাবে।
রফতানি করা যাবে বাইরের অন্যান্য দেশে। আবার দেশেও আনা যাবে প্রয়োজনে।
দক্ষিণ সুদান সবজি উৎপাদন করলে সেসব কেনারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তৈরি পোশাক বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বড় অংশ।
এর বাইরে এই পদক্ষেপ নিলে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণে বড় ভূমিকা রাখা যাবে।
এমনটা প্রধানমন্ত্রী মনে করেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব। গত আগস্ট মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন দেশটিতে সফর করেন।
তিনি গত ২২ আগস্ট দেশটির রাজধানী জুবায় দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কির মায়ারদিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে দক্ষিণ সুদানের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দক্ষিণ সুদানের উন্নয়নে কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেন।