Friday, 17 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

অনিশ্চয়তায় পড়েছে বোরো চাষ, খাল ভরাটে সেচ বন্ধ


অনিশ্চয়তায় পড়েছে বোরো চাষ ও তার ফলন

দুই বছর ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন মহাসড়কের উন্নয়নকাজ চলছে। মহাসড়কের পাশের খালটি উন্নয়নকাজের জন্য ভরাট করা হয়েছে। যার ফলে আশুগঞ্জ পলাশ-অ্যাগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের (সবুজ প্রকল্প) পানি ছাড়া সম্ভব হয়নি। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বোরো চাষ ও তার ফলন। সরাইল উপজেলার সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আর এ অনিশ্চয়তায় হাজারো কৃষক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

চার লেনে উন্নীতকরণে খাল ভরাট করা হয়েছে

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, দুই বছর ধরে এ উন্নয়ন কাজ চলছে।

আরো পড়ুন
বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম
বায়োফ্লক ট্যাংক

বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। Read more

চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত মহাসড়ক উন্নয়ন কাজ চলছে।

৩ হাজার ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে।

আশুগঞ্জ থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের খাল এই উন্নয়ন কাজের জন্য ভরাট হয়ে গেছে।

খাল ভরাট হবার কারণে আশুগঞ্জ সবুজ প্রকল্পের পানি ছাড়া সম্ভব হয়নি।

ওই প্রকল্পের পানি প্রতিবছর জানুয়ারির শুরুতে ছাড়া হতো।

মহাসড়কের পাশের খাল দিয়ে এ পানি সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়ায় জাফর খালে প্রবাহিত হতো।

জাফর খালের সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি খাল হয়ে সরাইলের সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান এর চাষ হতো।

সরেজমিনে দেখা যায়, সরাইল উপজেলার কোন এলাকার কোনো জমিতেই পানি পৌঁছায়নি।

পানির অভাবে এখনো বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়নি।

জমিগুলো শুকনো পড়ে আছে, অন্যদিকে বীজতলার চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে।

সরাইল উপজেলা কৃষক সমিতির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়।

তিনি জানান, সাড়ে ১৬ হাজার হেক্টর জমির পানি প্রবাহের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি।

অথচ খাল ভরাট করে সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েছে।

ফলে কৃষকেরা আজ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, মাথায় হাত দিয়েছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একরামুল হক।

তিনি জানান , আগামী ১০ দিনের মধ্যে চারা রোপণ করতে হবে।

না হলে বীজতলা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।

আর এত অল্প সময়ের মধ্যে কৃষকদের পক্ষে নলকূপ বসানো সম্ভব নয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সরাইলের ইউএনও আরিফুল হক জানান, বিএডিসি পানি ছাড়বে বলে কথা দিলেও কবে ছাড়বে, তা বলতে পারেনি।

বিএডিসি পানি ছাড়তে আগেই অপারগতা স্বীকার করলে কৃষকেরা হয়তো অন্য ব্যবস্থা করতে পারতেন।

বিএডিসির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রুবায়েত ফয়সাল আল মাসুম।

তিনি জানান, সওজ কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির ১৫ তারিখে পানি ছাড়ার কথা দিয়েছিলেন।

কিন্তু তখন তা ছাড়া সম্ভব হয়নি।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বল্প পরিসরে পানি ছাড়া সম্ভব হবে এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

0 comments on “অনিশ্চয়তায় পড়েছে বোরো চাষ, খাল ভরাটে সেচ বন্ধ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *