কিসমিস ফলের শুকানো অংশ। কিসমিস মিষ্টি বা দুধ জাতীয় খাবারের স্বাদ এবং মান বাড়িয়ে দেয়। বাঙ্গালী সাধারনত দুধ বা মিষ্টি যেমনঃ পায়েস, ক্ষীর, মুখরোচক করতে ব্যবহার করে। শুধু কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি?
সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে জানতে চেয়েছেন।
আসুন দেখে নেয়া যাক কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা।
কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়।
শুকনো কিসমিস খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি। কিসমিস ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন কিশমিশের পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই।
এছাড়া কিসমিস হৃদয়/ হার্ট ভালো রাখে।
নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল।
কিসমিসে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ আছে।
আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা সহজে রোগমুক্তির কারণ।
আর আছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কিসমিস ভেজানো জলও শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। কিসমিসের জল লিভার
পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কিস ভেজানো জল খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কিসমিশের উপকারিতার মধ্যে আরো রয়েছে-
যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে। সপ্তাহে কমপক্ষে চারদিন এই কিসমিস ভেজানো জল খেলে তা পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
যাঁরা প্রায়শই পেটের গণ্ডগোলে ভোগেন তাঁদের জন্য এই টনিক বিশেষ উপকারি। উপরন্তু এর থেকে পাওয়া যায় ভরপুর এনার্জি, যা সারাদিন আপনাকে রাখবে প্রাণবন্ত।
শুধু তাই নয়, কিশমিশ ভেজানো জল খেলে লিভারের পাশাপাশি কিডনিও খুব ভাল থাকে। আর কিডনি ও লিভার যদি ভাল থাকে তাহলে তা পরোক্ষভাবে হজমে সাহায্য করে।