এগ্রোবিডি ডেস্কঃ করোনার প্রভাব পৃথিবীকে পিছিয়েছে কয়েক যুগ। কৃষি ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমান প্রত্যক্ষ ভাবে ব্র্যাকের সমীক্ষাতে ৫৬ হাজার কোটি টাকা হলেও এ ক্ষতির পরিমান কয়েক গুন বেশি।
করোনা মহামারিতে সারাদেশে হাঁসের খামারে ক্ষতির পরিমান কোটি টাকার বেশি। সিলেট, মৌলভীবাজার সহ সারা বাংলাদেশ যারা ব্যানিজ্যিক ভাবে হাঁস পালন করে সে সব উদ্দোক্তাদের লোকসান ক্ষতি কোটি টাকা।
হাঁসের খামারে ডিম ও বাচ্চা দেয়ার উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত হাঁসের ডিম ও বাচ্চার চাহিদা বেশি থাকে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত টানা দুই মাস কঠোর লক ডাউনের কারনে সারা দেশে যোগাযোগ করা কঠিন হয়।
চুয়াডাঙ্গার আলম ডাঙ্গার জাকির এন্ড ব্রাদার্স মিক্সড এগ্রো ফার্ম এন্ড হ্যাচারী যেখানে বেইজিং ও খাকি ক্যাম্বেল জাতের ২৫ হাজার হাঁস রয়েছে। এ ফার্ম তিন মাসে প্রায় ১৫ লাখ একদিনের বাচ্চা উৎপাদন করে। তাদের এ বাচ্চা ২২ টাকার পরিবর্তে ৭ টাকা দরে ৫ লাখ বিক্রি করতে পেরেছে। বাকি ১০ লাখ বাচ্চা অবিক্রিত মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে।
সিলেটের সোনালি খামার তাদের বাচ্চার দাম না পাওয়াতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানান। করোনার কারনে ডিম ও বাচ্চা বিক্রি হ্রাস পেয়েছে।
এ বিষয় কে লক্ষ রেখে হবি গঞ্জ প্রশাসন হাঁস চাষের বিপরিতে ছাগল দেয়ার কথা ”হাঁস এ স্বচ্ছল তো পাবেন ছাগল’‘ বলে হাঁস চাষে চাষিদের উৎসাহ করেছেন।
হাঁসের খামারে এমন লোকসানের কারনে অনেক উদ্দোক্তা টাকার অভাবে খামার বন্ধ করে দিবেন ভাবছেন।