Sunday, 07 December, 2025

শসা চাষে শতাধিক কৃষক হয়েছেন লাভবান


মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গ্রামের কৃষক আজাদ মোড়ল। তিনি শসা চাষ করে তিন গুণ লাভ করেছেন। পরিকল্পিত চাষ ও খেতের সঠিক পরিচর্যার কারণে ফলন বেশি। এর ফলন ধান–তামাকের চেয়ে শসার ফলন বেশি। এতে লাভও বেশি হয়। শুধু আজাদ নন, শসা চাষে শতাধিক কৃষক লাভবান হয়েছেন।

আজাদ মোড়ল জানান যে, ২০১৮ সালে শসা চাষ শুরু করেন।

তামাক চাষ ছেড়ে করছেন শসার চাষ

আরো পড়ুন
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে Read more

কৃষি অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে ১১ জনকে সম্মাননা!
কৃষি অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ উদ্যোগে ১১ জনকে সম্মাননা!

কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য আটজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি) এবং চ্যানেল আই। সারাদেশে Read more

তখন তিনি প্রথমবারের মতো তামাক চাষ ছেড়ে দেন।

তামাক চাষের জমিতে তিনি শুরু করেন শসা চাষ।

শুরুর ওই বছর জমিতে শসা চাষ করা হয় মাত্র এক বিঘা।

আগে এই জমিতেই তামাক চাষ করা হতো বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান যে প্রচুর সার ব্যবহার করতে হয় তামাক চাষে।

এলাকায় সারের দোকানে এই কারণে মোটা দাগের বাকি হতো তার।

তার স্ত্রীকে সারা রাত জেগে তামাক পোড়াতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।

এমনকি তামাক জ্বালাতে গিয়ে তার স্ত্রী একসময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন থেকেই তিনি  তামাকের বিকল্প শসা চাষ শুরু করেন।

সেই সময় প্রতি বিঘায় শসা ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছিল বলে তিনি জানান।

তার পরের বছর আরও দুই বিঘা জমিতে আবারও শসার চাষ করেন তিনি।

এভাবে বাড়াতে বাড়াতে বর্তমানে পাঁচ বিঘায় আবাদ করছেন তিনি।

বিঘাপ্রতি শসা আবাদে তার খরচ হয় ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে জানা যায়, উপজেলার ১৪০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে শসার আবাদ হচ্ছে।

বর্তমানে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর, বিশ্বনাথপুর, বাবুপুর, আনন্দবাস, কোমরপুর, মহাজনপুর, রশিকপুর, দারিয়াপুর, গৌরীনগর, যতারপুর, গোপালপুর এলাকায় শসাসহ অন্যান্য সবজি উৎপাদন হচ্ছে।

স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে এসকল পণ্য দখল করেছে দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজার সমূহ।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সবজি বাজারে পাওয়া যায় এ অঞ্চলের শসা ও অন্যান্য সবজি।

মুজিবনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের নির্দেশনা আর চাষিদের পরিশ্রম এবং আবহাওয়া অনুকূলে ছিল।

যার কারণে শসার ভালো ফলন হয়েছে চলতি মৌসুমে। সারা দেশে শসার চাহিদা রয়েছে প্রচুর।

যার কারণে চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন শসার ফলনে।

0 comments on “শসা চাষে শতাধিক কৃষক হয়েছেন লাভবান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ