Saturday, 31 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

লিচু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়


লাভজনক লিচু চাষ

দশ বছরে লিচু চাষের জমির পরিমান ও উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণ। লিচু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় এবং এ দিক দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে চীন ও তৃতীয় স্থানের রয়েছে তাইওয়ান।

গ্রীষ্মকালীন ফল লিচু। গরম কালে লাল টকটকে, রসালো, মিষ্টি রসের লিচুতে মন মজেনি এমন খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদেশে পাবনা, দিনাজপুর ও আশপাশের এলাকায় সবচেয়ে বেশি লিচু উৎপাদন হয়। তবে রসালো ফলটির আদি বাসস্থান চীন। দেশটির দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলীয় গুয়াংডং ও ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ফলটি। ইতিহাস মেনে এখনও চিনেই সবচেয়ে বেশি লিচু উৎপাদন হয়। তবে ফলটি রপ্তানিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ মাদাগাসকার।

শীর্ষ উৎপাদক হিসেবে যে দেশটির নাম প্রথম আসে তা হলো চীন। এখানে ২ লাখ টন লিচু উৎপাদন হয়।

আরো পড়ুন
রাঙ্গামাটিতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড় ধসের আশঙ্কা

টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাঙ্গামাটির জনজীবন। কখনো ভারী, কখনো মাঝারি আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের Read more

গ্রীষ্মেও বাঁধাকপি চাষে সাফল্য দৌলতপুরের কৃষকদের

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) : শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত বাঁধাকপি এখন আর শুধু শীতেই সীমাবদ্ধ নেই। আধুনিক চাষাবাদ প্রযুক্তি এবং গ্রীষ্মকালীন উপযোগী Read more

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩১ হাজার ২৬১ হেক্টর জমিতে ২লাখ ১০ হাজার ৩২২ টন লিচু উৎপাদনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ উঠে এসেছে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে। সংগ্রহোত্তর ৩৫ শতাংশ লোকশানের পরেও এদেশে বছরে লিচু উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১লাখ ৪২ হাজার টন।

লিচু উৎপাদনে এর পরের দেশটি হচ্ছে তাইওয়ান। এখানে ১ লাখ ৩১ হাজার টন লিচু উৎপাদন হয়।

থাইল্যান্ডে উৎপাদন হয় ১ লাখ ১০ হাজার টন। এর পরে রয়েছে ভিয়েতনাম, যেখানে ১ লাখ টন লিচু উৎপাদন হয়। ভিয়েতনামের পরে রয়েছে ভারত। ভারতে ৯০ হাজার টন, মাদারগাসকারে ৫০ হাজার টন লিচু উৎপাদন হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় লিচু উৎপাদন হয় ৮ হাজার টন, অস্ট্রেলিয়ায় ২ হাজার টন, মরিশাসে ১ হাজার টন ও যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ টন লিচু উৎপাদন হয়। শীর্ষ রপ্তানিকারক হিসেবে এখনও মাদাগাসকার অবস্থান করছে। এর পরে রয়েছে ভিয়েতনাম, চীন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশ।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় লিচুর তালিকাতে রয়েছে চায়না থ্রি, বোম্বে এবং বেদেনা।

এদিকে লাগাতার গবেষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ লিচু উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেকে দুর এগিয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি ইতোমধ্যে উন্নত ৩টি জাতের লিচু অবমুক্ত করেছে। এগুলো হচ্ছে বারি লিচু ১,২ ও ৩।

গবেষণায় স্বল্পসময়ের লিচুছাড়াও একই পরিবারভুক্ত লংগন ও রামবুটানের আয়ুস্কাল বেড়ে ১মাসের স্থলে পাঁচ মাস হয়েছে। আগে একসময় শুধূমাত্র দিনাজপুরসহ আশপাশের এলাকায় সবচেয়ে বেশি হলেও বর্তমানে পাবনাসহ অন্যান্য অনেক এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে লিচুর চাষ। উৎপাদনে অনেক এগিয়েছে মাগুরা ও সোনারগাঁ।

0 comments on “লিচু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ