দেশে করোনাকালে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে খাদ্য উৎপাদনের ধারা যা সামনেও অব্যাহত থাকবে। বোরো ধান ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ কোটি টনের বেশি উৎপাদিত হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ উৎপাদন।
খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে
একই সময়ে মোট চাল উৎপাদিত হয়েছে ৩ কোটি ৮৬ লাখ টন।
এছাড়া এই অর্থবছরে গম ১২ লাখ টন এবং ভুট্টা প্রায় ৫৭ লাখ টন উৎপাদিত হয়েছে।
আলু উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ টন।
একইভাবে শাকসবজি ১ কোটি ৯৭ লাখ টন উৎপাদিত হয়েছে।
এবং তেল জাতীয় ফসল উৎপাদিত হয়েছে ১২ লাখ টন এবং ডালজাতীয় ফসল ৯ লাখ টন।
বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২১ উদ্যাপন উপলক্ষে গত শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়।
রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক এ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান যে, কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করেছে।
একারণে এক বছরেই ৭ লাখ টন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।
এ বছর মোট ৩৩ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ পালিত হবে।
সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও প্রতিবছর বিশ্ব খাদ্য দিবস আয়েজিত হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হবে, ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ-ভালো উৎপাদনে ভালো পুষ্টি, আর ভালো পরিবেশেই উন্নত জীবন’।
এই সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এ দিবস উপলক্ষ্যে।
খাদ্য দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে এসকল কর্মসূচির মাধ্যমে।
শনিবার সকালে দিবসের প্রথম ভাগে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করা হয়।
এতে এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত ছিলেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এফএও-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় এবং ওই সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।