Friday, 22 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

চিনতে হলে নকল সার, জানতে হবে বারবার – ভেজাল সার চেনার উপায়


সার কৃষি ফসলের ফলনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। আর তাই আজ আলোচনা করবো ভেজাল সার চেনার উপায় যাতে ভেজাল সার ব্যবহার করে আপনার ক্ষতিতে না পড়েন ।মাটির পুষ্টি ও গুণাগুণ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয় সার। বর্তমানে চাহিদা মেটানোর জন্য অধিক ফসল উৎপাদন করতে হচ্ছে। যার জন্য উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের ফসলের চাষ ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভেজাল সার চেনার উপায়

এই ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে বিভিন্ন রাসায়নিক সার। কিন্তু চাহিদার ভীড়ে আসলের আড়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সারে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে আসল বলে দেদারছে বিক্রি করছেন নকল বা ভেজাল সার। আর  এর পরও যদি আপনাদের আরো জানার ইচ্ছে হয়, আমাদের প্রশ্ন উত্তর এ প্রশ্ন করুন

আরো পড়ুন
দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে চমক দেখালেন কৃষক মুক্তার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কৃষক মুক্তার হোসেন মোল্যা দেশীয় পাট বীজ উৎপাদনে উদ্ভাবনী সাফল্য দেখিয়েছেন। সালথা উপজেলা পাট উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত Read more

‘পুষ্টির ডিনামাইট’ সজিনা চাষ পদ্ধতি

সজিনা (Moringa oleifera) একটি দ্রুতবর্ধনশীল, পুষ্টিকর গাছ যা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক অঞ্চলে চাষ করা হয়। সজিনা গাছের পাতা, ফল Read more

একটু সতর্ক হলেই কৃষকেরা আসল ও নকল সারের তফাত বুঝতে পারবেন সহজে। চলুন কয়েকটি সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে আসল বা নকল সার শনাক্ত করার উপায় অর্থাৎ ভেজাল সার চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:

এমওপি বা পটাশ সার কিভাবে চিনবেন

ইটের গুড়া পটাশ সারের সাথে মিশিয়ে খুব সহজেই আসল সার বলে চালিয়ে দেয়া যায়। বাজারে যাবার পর একটি গ্লাসে পানি নিয়ে   তাতে  পটাশ সার মিশিয়ে দিবেন। যদি সার আসল হয় তাহলে তা  গলে যাবে।

কিন্তু ভেজাল হিসাবে সামান্য কিছুও  মিশানো থাকলে তা পানিতে গলে যাবে না। বরং গ্লাসের তলায় পড়ে থাকবে। আর এই তলানি যখন দেখবেন তখন বুঝে নেবেন সারটি আসল নয়, সম্পূর্ণ ভেজাল।

ইউরিয়া সার কিভাবে চিনতে পারবেন

সাধারণত আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো একই রকম সমান হয়ে থাকে। কেনার সময় প্রথমেই দেখে নিবেন যে সারের দানাগুলো একই রকম ও সমান কিনা। ভেজাল হিসেবে ইউরিয়া সারে কাঁচের গুড়া অথবা লবণ মেশানো হয়।

সার চিনতে হলে একটি চা চামচে সামান্য  ইউরিয়া সার নিয়ে তাপ দিতে থাকুন। এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার একটি ঝাঁঝালো গন্ধ তৈরি হবে এবং সারটি গলে যাবে। যদি এমনটি না হয়, তবে বুঝে নিবেন যে সারটি ভেজাল।

ডিএপি সার আসল না নকল কেমন করে বুঝবেন

আসল নাকি নকল তা  চেনার ডিএপি সারের বেলায়ও চামচে নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। একটি পরিষ্কার চামচে কিছু  ডিএপি সার নিয়ে গরম করতে থাকুন যতক্ষণ না অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ পান। অ্যামোনিয়ার গন্ধের সাথে সাথে এটি গলে যাবে।

এক্ষেত্রে যদি গলে না যায় তাহলে  সারটি পুরোটাই নকল । তবে যদি সামান্য বা অর্ধেক গলে যায় তবে বুঝে নিতে হবে  যে সারটিতে কিছু পরিমান ভেজাল বর্তমান। অন্যভাবেও এটি পরীক্ষা করতে পারেন।

সার হাতের মুঠোয় নিয়ে চুন দিয়ে ডলা দিন, এতে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ পাবেন। কোন ভাবে যদি অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ  না পান  তাহলে বুঝে নিবেন সারটি ভেজাল।

টিএসপি সার চিনতে হলে কি করতে হবে

বেশি কিছু না, শুধু পানি ব্যবহার করতে হবে। আসল টিএসপি সার পানিতে মিশতে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা সময় নেয়। কোনক্রমে যদি পানিতে দেবার সাথে সাথে মিশে যায় বা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে মিশে যায় তাহলে সেই সারটি নকল বা ভেজাল সার বলে ধরে নিতে হবে।

জিংক সালফেট  সার কিভাবে পরীক্ষা করতে হয়

অল্প করে জিংক সালফেট ও পটাশিয়াম সালফেট একসাথে হাতের তালুতে নিয়ে ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর মনে হবে যে ঠান্ডা, অনেকটা জমাট দইয়ের মতো গলে যাবে।

তো এই ছিলো ভেজাল সার চেনার উপায়  সম্পর্কে আমাদের সল্প চেষ্টা । সাথেই থাকুন আরো জানার জন্য

0 comments on “চিনতে হলে নকল সার, জানতে হবে বারবার – ভেজাল সার চেনার উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা