Sunday, 28 April, 2024

সর্বাধিক পঠিত

গবাদিপশুর খামারে মাছির উপদ্রব থেকে রক্ষার নিয়ম


গবাদিপশুর খামারে মাছির উপদ্রব অনেক সাধারণ একটি বিষয়। এতে অনেক সময় গবাদিপশুর মধ্যে রোগ ছড়ায়, মড়ক ছড়াতেও মাছি মূখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই খামার মাছি মুক্ত রাখা একটি অন্যতম অত্যাবশকীয় কাজ। ক্ষুদে এই প্রানীটি গবাদিপশুর খামারে মাছির উপদ্রব বিরাট ক্ষতির কারন হতে পারে যখন তখন।  গরু ছাগলের শরীরে বিভিন্ন অপকারী ভাইরাস ঢুকিয়ে করে দিতে পারে রোগাক্রান্ত।

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেবার পরপরই নিয়মতি ও দ্রুত সেসব পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। নয়তো  মাছিরা পেয়ে যায় বংশরক্ষার বড় ধরনের সুযোগ। এসব প্রাণীর মল মাছিদের ডিম পাড়ার স্থান। মাছি ৭৫–১৫০টি ডিম পাড়ে একই সময়ে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। তাই পোষা প্রাণীর মলমূত্র সাফ করে ফেলতে হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে। সেই সাথে খামারের পরিবেশ রাখতে হবে পরিষ্কার।

গবাদিপশুর খামারে মাছির উপদ্রব থেকে রক্ষার নিয়ম

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

খামারের আশেপাশে কিছু গাছ লাগাতে হবে। যেমন লেমনগ্রাস, পুদিনা,   তুলসী ইত্যাদি। গুল্ম জাতীয় গাছ লাগানো যায় টবে। টবগুলো সাজিয়ে রাখা যায় দরজার সামনে পেছনে বা জানালার পাশে।

কতগুলো লেবু কেটে ভেতরে লবঙ্গ বা লং  গেঁথে দেয়া যেতে পারে। লবঙ্গের মাথার অংশটা ব্যাতীত পুরোটা ঢুকাবেন। এবার লেবুর টুকরো গুলো বিভিন্ন কোণায় কোণায় রেখে দেয়া যায়। প্রাকৃতিক এই পদ্ধতিতে মশা- মাছি, পোকামাকড় দূর হয়ে যায়।

ব্যবহৃত চা-পাতা  ভাল করে রোদে শুকিয়ে তা দিয়ে ধোয়ার ব্যবহার করা যায়। শুকনো চা পাতা পোড়ানোতে  ‍উৎপন্ন ধোঁয়ায় মশা, মাছি টিকতে পারে না।

তারপিন তেল ও কর্পুর (ন্যাপথালিন গুঁড়াও অনেকে দেন) এ দুইটা জিনিস খুব কার্যকরি। ১লিটার পানিতে এ ‍দুটো মিশিয়ে গরুর গায়ে স্প্রে করলে মাছি বসতে পারবে না।

কর্পূরের গন্ধে মশা-মাছি থাকতে পারে না। তাই কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে পানি দিয়ে পূর্ণ করে সেটি  খামারের কোনায় রেখে দেয়া যেতে পারে। এতে খুব দ্রুতই মশা-মাছিকে তাড়াবে । প্রতি দুই দিন পর পর পানি পরিবর্তন করে দিতে হবে। আগের পানিটুকু না ফেলে তা খামারের আশে-পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিলে পোকামাকড় ও পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

এছাড়া পুরো খামারে রসুনের স্প্রে করেও মশা-মাছি তাড়ানো যায়।

তবে আজকাল বাজারে বিভিন্ন রকম ফাঁদ পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করেও কিন্তু মশা-মাছি তাড়ানো যায়। কিন্তু মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মশা-মাছি তাড়ানো।

0 comments on “গবাদিপশুর খামারে মাছির উপদ্রব থেকে রক্ষার নিয়ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *