কাঁচা ঘাসে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার থাকে যা গবাদিপশুর শারীরিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এছাড়া কাঁচা ঘাস খাওয়ালে গাভীর দুধের পরিমাণ এবং মান বৃদ্ধি পায়। এতে প্রোটিন ও ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকায় দুধের পুষ্টিগুণও ভালো থাকে।
গবাদিপশুর উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য কাঁচা ঘাস ব্যবহার একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। এখানে কিছু উপায় আছে যা কাঁচা ঘাসের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে:
১. স্থানীয় ঘাসের ব্যবহার:
– স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায় এমন ঘাস ব্যবহার করা যেতে পারে, যা পরিবহন খরচ কমায়।
– স্থানীয় ঘাসের উৎপাদন সহজতর হয় এবং এর পরিচর্যা ও সংগ্রহও সহজ হয়।
২. স্বল্প ব্যয়ের চাষাবাদ:
– কম খরচে ঘাসের চাষাবাদ পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন, ঘাসের বীজ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা এবং স্বল্প খরচে জমি প্রস্তুত করা।
– অর্গানিক সারের ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা বাড়ানো যেতে পারে।
৩. মিশ্রিত ঘাসের ব্যবহার:
– বিভিন্ন ধরনের ঘাস মিশিয়ে গবাদিপশুকে খাওয়ানো যেতে পারে যাতে খাদ্যের পুষ্টিমান বজায় থাকে এবং খরচ কমে।
– উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন ঘাসের সাথে সাধারণ ঘাস মিশিয়ে খাওয়ালে খাদ্য খরচ কমানো সম্ভব।
৪. সংরক্ষণ পদ্ধতি:
– কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ করতে সাইলেজ বা হে (Hay) তৈরি করা যেতে পারে, যা পরবর্তীতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।
– ঘাস সংরক্ষণ করলে বছরে যে কোনো সময় ব্যবহার করা যায় এবং অতিরিক্ত খাদ্য খরচ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫. মডার্ন টেকনোলজি ব্যবহার:
– আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘাসের উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। যেমন, ড্রিপ ইরিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেচ দেওয়া।
– মেশিনের সাহায্যে ঘাস কাটা ও সংরক্ষণ করা হলে শ্রম খরচ কমে যায়।
৬. গবেষণা ও প্রশিক্ষণ:
– কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাতে তারা ঘাস চাষের উন্নত পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন।
– গবেষণার মাধ্যমে নতুন ধরনের উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন ঘাসের জাত উদ্ভাবন করা যা খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলে কাঁচা ঘাসের মাধ্যমে গবাদিপশুর উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব হবে। কাঁচা ঘাস পশুদের সুস্বাস্থ্যের জন্য এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হওয়ার জন্য একটি চমৎকার বিকল্প। এটি গবাদিপশুর খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা তাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।