কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনাকালে অসহায়, গরীব-দু:স্থ, খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে খাদ্য ও নগদ অর্থসহ মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তা সারা বিশ্বে এক অনন্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান, কোনক্রমেই দেশের একটি মানুষকেও যেন না খেয়ে থাকতে না হয়। খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়। তাই, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে অসহায় ব্যক্তি ও দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।
শনিবার (১৭ জুলাই) সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় গরীব অসহায় ব্যক্তি, দুঃস্থ পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণরোধে আরোপিত লকডাউনে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। এছাড়া, অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার শুরু থেকেই খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে অব্যাহতভাবে এসব মানুষের পাশে আছেন।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার নেই। তারপরও এই ঈদুল আযহাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ কোটির বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। ঈদ পরম আনন্দের ও খুশির দিন। প্রধানমন্ত্রী চান, এই দিনে কোনক্রমেই যাতে দেশের একটি মানুষকেও না খেয়ে থাকতে না হয়। খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়। তাই, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে অসহায় ব্যক্তি ও দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।
যদুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সামিউল হক, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অসহায় ব্যক্তি, দু:স্থ পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। এসময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।