কৃষি পণ্যের বাজার জাত করণ নিশ্চিত করার জন্য কৃষি মন্ত্রনালয় উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে। দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এতে কৃষি পণ্যের সঠিক বিপণন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছেে এই চরম মহামারিকালেও । সেই সাথে বেড়েছে অন্যান্য ফসলের উৎপাদন।
মন্ত্রী জানান ফসলের উৎপাদনে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থা এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তার মতে কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বড় বড় কোম্পানিগুলো এগিয়ে আসতে হবে। তা না আসলে সুষ্ঠু ও টেকসই বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়তো সম্ভব হবে না’।
বুধবার ভার্চুয়ালি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় সচিবালয় থেকে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। ‘মহামারিতে খাদ্য নিরাপত্তা এবং সরবরাহ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী এ আলোচনা সভায় তার বক্তব্যে আরও বলেন, বিপণনের সমস্যা দেখা দেয় যখন উৎপাদন একটু বেশি হয়। উদাহরণ স্বরূপ তিনি আম ও আলুর কথা বলেন। তিনি বলেন এ বছর আম ও আলুর উৎপাদন বেশি, দাম কম। অথচ বর্তমানে কৃষকেরা আলু বিক্রি করতে পারছে না। আম বিভিন্ন ভাবে প্রক্রিয়াজাত করে জুস, জেলি িইত্যাদি তৈরি করা যায়। আবার আলু প্রক্রিয়াজাত করে আলুর চিপস প্রভৃতি ব্যাপকহারে উৎপাদন করতে পারলে বিপণনের এ ধরণের সমস্যা সম্মুখীন হতে হতো না। এতে কৃষকেরাও ভালো দাম পেত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এফবিসিসিআই ও ডিসিসিআইকে কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে এগিয়ে আসার তাগিদ প্রদান করেন মন্ত্রী।
এ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বিএসটিআইর মহাপরিচালক ড. মো: নজরুল আনোয়ার, কার্নেল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. সালেহ আহমেদ, ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রাহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনকেএ মুবিন, এনএটিপির উপদেষ্টা মাহবুব আলম, ফুডপান্ডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারিন রেজাসহ প্রমুখ। ওয়েবিনারে এই সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন।
সম্প্রতি কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি এবং মানসম্পন্ন পণ্যের রফতানি নিশ্চিত করতে ‘কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ’ এর আধুনিকায়নে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। ঢাকার শ্যামপুরে অবস্থিত এই হাউজের আধুনিকায়নে প্রকল্প ব্যায় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি টাকা।