Wednesday, 31 December, 2025

আতা ফল বাণিজ্যিক চাষ করে ব্যপক সফল চাষি শাহজাহান বাদশা


আতা ফল, আামদের দেশীয় ফলের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ফল। সেই আতাফল এর বাণিজ্যিক চাষ এর সম্ভাবনা থাকলেও সেটি অনেকটা উপেক্ষিতই থাকে। তবে এবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বক্তারপুর গ্রামের চাষি শাহজাহান আলী বাদশা সেটাকেই ‍দিয়েছেন বেশি গুরুত্ব। তিনি আতা ফল বাণিজ্যিক চাষ করে বাজিমাত করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় শরিফা ফল বা মেওয়া ফল নামেও পরিচিত এই আতা ফল।

আতা ফল এর বাণিজ্যিক চাষ

বাদশা মিয়া জানান প্রায় ১৫ বছর আগে এ বাগানটি শুরু করেন। বাণিজ্যিকভিত্তিতে তৈরি এ বাগানের আয়তন এখন ৪০ বিঘা।  তিনি এ বাগান থেকে ফল পাওয়া শুরু করেন ২০১২ সাল থেকে। এখন পরিপূর্ণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে তার বাগান থেকে। বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন এই ফল বিক্রি করে।

আরো পড়ুন
আসন্ন রমজানে স্বস্তি: খেজুর আমদানিতে বড় শুল্ক ছাড় দিল সরকার
খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমালো সরকার

ঢাকা আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং বাজারদর সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে আমদানিতে বড় ধরনের শুল্ক Read more

আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চিংড়ি রপ্তানির আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চিংড়ি রপ্তানির আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

বাগেরহাট বাংলাদেশের চিংড়ির স্বাদ ও মান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিবেশসম্মত উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরণের ওপর Read more

আতা ফল চাষে উদ্বুদ্ধ হবার প্রশ্নে তিনি জানান দেশীয় এই ফল বিলুপ্তপ্রায়। দেশি এই ফলকে বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা জন্মায় এক সময়। সেই থেকেই শুরুতে এক একর জমিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাগান গড়ে তুলেছিলেন বাদশা মিয়া। তার দাবি দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে তোলা প্রথম আতা ফল বাগান হল তার বাগান। দীর্ঘ ১৫ বছরে তার সেই ছোট বাগান আজ ৪০ বিঘার বাগানে রূপ নিয়েছে।

বাদশা মিয়ার ভাষ্যমতে, ২০০৬ সালে ঢাকার বায়তুল মোকারম এলাকা থেকে তিনি তিন কেজি আতা ফল কেনেন। প্রতিকেজি ৩০০ টাকা দরে সেই আতা ফল কিনেছিলেন তিনি। এরপর প্রায় হাজার টাকার ঐ ফল থেকে বীজ সংগ্রহ করেন এবং চারা তৈরি করেন।

এরপর সেই চারা দিয়েই তিনি বাগান শুরু করেছিলেন। ক্ষেতে লাগানোর পাঁচ বছর পর থেকে তিনি ফল পাওয়া শুরু করেছেন। সীমিত আকারে ফল পেয়েছিলেন শুরুর দুই বছর। কিন্তু এখন সব গাছ থেকে পূর্ণ ফলন পাচ্ছেন তিনি।

বাদশা মিয়া বলেন, বৈশাখ মাসে ফুল আসে এই ফলের। ভাদ্র মাসে ফলন সংগ্রহ করা যায় এই ফলের। আতা ফল উৎপাদন খরচ কম। চারা লাগানো, যত্ন-পরিচর্যা সব কিছু মিলিয়ে বিঘা প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি।

বাগানের গাছের উচ্চতা ৭ থেকে ৮ ফুট থাকলে ঝড়ে ডালপালা ভেঙে যাওয়া আশঙ্কা কম থাকে। আগাছা দূর করা ও সার দেয়া ছাড়া বাড়তি যত্ন-পরিচর্যা করতে হয় না।

মাঝে মধ্যে মিলিব্যাগ নামক ছোট ছোট পোকার আক্রমণ হয়। তবে সেটি প্রতিষেধক দ্বারা সহজেই দমন করা সম্ভব। পাকা ফল দ্রুত তোলাই ভালো না হলে পাখি খেয়ে নিতে পারে।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক জানান, দেশীয় প্রজাতির এ ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। একই সাথে এর চাষ করাও লাভজনক।

0 comments on “আতা ফল বাণিজ্যিক চাষ করে ব্যপক সফল চাষি শাহজাহান বাদশা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ