বর্তমানে দেশের সরকারি কারখানাগুলোতে উৎপাদনের পরিমানও খুব সীমিত। এসব কারখানাগুলোর উন্নয়ন সাধন করতে হবে। এই সরকারি কারখানাগুলোকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এমন আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
রোববার জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সকলের প্রতি এ আহ্বান জানান।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ সভায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন।
কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বেশ কিছু কারখানা পরিচালনা করছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
এ সকল কারখানার উৎপাদনশীলতা খুব কম।
কারখানাগুলো বেশ পুরোনো।
এসব কারখানাগুলোর মান উন্নয়ন করতে হবে।
যেন সেগুলো নিজ নিজ খাতে উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে এক একটি মডেল হয়ে ওঠে।
সেজন্য এনপিও কে প্রচুর কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন বর্তমানে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি এসেছে।
কিন্তু উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সে প্রযুক্তির কার্যকারিতার মূল্যায়নের সময় এসেছে।
মন্ত্রী জানান এসডিজিতে উৎপাদনশীলতার টার্গেট দ্বিগুণ করার কথা।
সেটা একটি খুব বড় চ্যালেঞ্জ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে বলেও তিনি মনে করিয়ে দেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে অনেক অগ্রসর করেছে সরকার।
ক্রমবর্ধমানভাবে জমি কমে গেলেও ক্রমেই উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ।
আগে এক বিঘা জমিতে ৪-৫ মণ ধান হত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বর্তমানে সেটা ১৭-১৮ মণ উৎপাদন হচ্ছে।
তারপরও আরও ভালো প্রযুক্তি ও জাত প্রতিস্থাপণের চেষ্টা চলছে।
এতে করে যেন ফলন ৩০ মণ দাঁড়ায়।
মন্ত্রী দাবি করেন, দেশীয় গাভীগুলো আগে ৫ লিটার দুধ দিত।
বর্তমানে উন্নত জাত হবার কারণে ২৮-৩০ লিটারও দুধ দিচ্ছে।
কিন্তু ইউরোপে আরও ভালো প্রযুক্তি রয়েছে।
এতে সেখানে প্রতিদিন ৬০ লিটার করে দুধ দেয়।
সেগুলো আমাদের দেশেও বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানান তিনি।
প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ধান উৎপাদনে সার ও সেচের প্রয়োজনীয়তা ঠিক ভাবে রাখতে পারছে না।
পরিমাণে কম বেশি হচ্ছেবলে তিনি উল্লেখ করেন।
সেটা অনেক সময় ঘাটতির কারণ হবার পাশাপাশি খরচও বাড়াচ্ছে বলে তিনি জানান।
তাই প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাত্রা শিখতে হবে বলেও তিনি মনে করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার দাবি করেন, উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সেরা অবস্থানে রয়েছে।
তিনি জানান সামগ্রিক অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান এখন ৩৭ শতাংশ।
আর এটি ক্রমবর্ধমান হারে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সম্ভব হয়েছে।