কনকনে শীতের মধ্যেই গত শনিবার সকালে বগুড়ার মহাস্থান হাট ছিল সরগরম। বাজারে সবজির প্রচুর আমদানি থাকলেও দাম ছিল প্রচুর। এক হাত বদলে বগুড়া শহরের বাজারে যেতেই দাম হচ্ছে দুই থেকে তিন গুণ বেশি। বৃষ্টিতে খেত নষ্টের অজুহাতে সবজির দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ বাজারে সবজির কোন কমতি নেই।
প্রায় তিন গুণ দামে সবজি কিনতে হচ্ছে
মহাস্থান হাটের ১০ টাকা কেজির দেশি পাকরি আলু বগুড়া শহরের বাজারে ২০ টাকায় কিনতে হয়।
একই ভাবে দেশি বেগুন, কাঁচা মরিচ এবং দেশি শিমও দুই থেকে তিনগুন দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বগুড়া শহর থেকে মহাস্থান হাট এর দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার।
ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে কথা হয়।
মহাস্থান পাইকারি বাজার থেকে বগুড়ার খুচরা বাজার পর্যন্ত সবজি পরিবহনে প্রতি কেজিতে গড়ে এক টাকা খরচ পড়ে বলে জানান তারা।
সবজি বিক্রি করে কৃষক উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না।
এক হাত বদলের পর মধ্যস্বত্বভোগীরা সেই সবজি শহরের বাজারে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
বৃষ্টিতে খেত নষ্টের দাবি
শহরের খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয়।
তারা জানান যে মাঘের বৃষ্টিতে সবজির খেত নষ্ট হয়েছে।
যার কারণে হাটে সবজির সরবরাহ কমে গেছে।
আর বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণেই শীতকালীন সব সবজির দাম বেড়ে গেছে বলেও তারা দাবি করেন।
কিন্তু সরেজমিনে শনিবার মহাস্থান হাটে সবজির সরবরাহের চিত্র অবশ্য তা প্রমাণ করছে না।
পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে সবজির আমদানি স্বাভাবিক সময়ের মতোই দেখা গেছে।
মহাস্থান হাটে সরেজমিনে গিয়ে মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সমারোহ দেখা যায়।
হাটে আলু বিক্রি করতে আসা ঘাগুরদুয়ার গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ।
তিনি জানান যে, ৪০০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করেও তার খরচ উঠবে না।
শহরের বকশীবাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, মাঘের বৃষ্টিতে সবজির খেত মাঠে মারা গেছে।
বৃষ্টির কারণে পাইকারি মোকামে সব রকমের সবজির দাম বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে।
মহাস্থানহাট আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচ এবং দেশি আলুর দাম প্রতি কেজিতে ১-২ টাকা বেড়েছে।
অন্য কোনো সবজির দামে প্রভাব পড়েনি দাবি করে তিনি বলেন মোকামে আমদানিও স্বাভাবিক আছে।