Monday, 20 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

কৃষকের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের মেয়াদ বাড়ল


করোনা মহামারির ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষকের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার ‘কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামের বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই ঋণ বিতরণ করতে পারবে দেশের ব্যাংকগুলো। ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস মেয়াদী এ ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ।

আরো পড়ুন
বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম
বায়োফ্লক ট্যাংক

বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। Read more

চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘কৃষিখাতের বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের সময়সীমা ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো। আগে বিশেষ এ তহবিলের ঋণ বিতরণের সময় সীমা ছিল চলছি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া একক খাতে ব্যাংকের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ঋণের ৩০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না এমন নির্দেশনা ছিল। এটির সীমা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিদায়ী বছরের ১২ এপ্রিল করোনাভাইরাসে কৃষিখাতের ক্ষতি মোকাবিলায় কৃষকের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই কৃষিখাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন ও পরিচালনার নীতিমালা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঋণ বিতরণের খাতগুলো হলো- শস্য ও ফসল খাত ব্যতীত কৃষির অন্যান্য চলতি মূলধন নির্ভরশীল খাত (হর্টিকালচার অর্থাৎ মৌসুম ভিত্তিক ফুল ও ফল চাষ, মৎস্য চাষ, পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ খাত)।তবে, কোনো একক খাতে ব্যাংকের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ঋণের ৩০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। নতুন নির্দেশনায় এটির সীমা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।

তাছাড়া কোনো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ক্রয় করে সরাসরি বিক্রি করে, তাদেরও স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণের জন্য বিবেচনা করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোনো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না।

এই ঋণের কোনো অংশের অসদ্ব্যবহারের প্রমাণ পেলে বাংলাদেশ ব্যাংক সমপরিমাণ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত দুই শতাংশ সুদ সহ এককালীন জরিমানা করবে।

0 comments on “কৃষকের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণের মেয়াদ বাড়ল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *