সমুদ্রে দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার ঠিক তিন চার দিন পরে বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকায় ইলিশ শূন্য ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরছে জেলেরা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপকুলের জেলেরা। বর্ষা মৌসুমে এবং পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানিতে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেন আবহাওয়া অফিস। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়।
মৎস্য বিভাগ বলছে, গত মৌসুমের তুলনায় এবার বেশি ইলিশ আহরণ সম্ভব হবে। তাই আবহাওয়া অনুকুলে এলেই আবারও শিকারে গভীর সমুদ্রে যাবেন জেলেরা।
এদিকে সমুদ্র উত্তাল থাকায় গত মঙ্গলবার বিকেল থেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন পাথরঘাটার জেলেরা। দফায় দফায় আবহাওয়াজনিত কারণে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার।
পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে স্থানীয় জেলে ট্রলার ছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জেলেরা আশ্রয় নিয়েছে। পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে জেলেদের পদচারণায় মুখর থাকলেও নেই ইলিশের দেখা।
সোমবার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতার কেন্দ্রে গিয়ে জেলেদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বছরের বেশিরভাগ সময়ে এভাবে অবরোধ আর আবহাওয়া খারাপ হলে আমাদের পেশা বিলীন হয়ে যাবে। আর আমরা অবরোধ শেষে যেতে পারলাম না, এর মধ্যে ফিরে আসলাম খালি হাতে। এরকম একের পর এক বিড়ম্বনায় পরলাম। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে একযোগে অবরোধ এবং জেলেদের সরকারি সুবিধা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের দাবি জানান তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে গভীর বঙ্গোপসাগরসহ স্থানীয় নদীতেও মাছের দেখা মিলবে। আবারও হাজার হাজার জেলেরা সাগরে যাবেন এবং মাছ আহরণ করতে পারবেন। এদিকে জেলেদের নিরাপত্তায় নানান ধরনের ডিভাইস প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।