গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। গত কিছুদিন আগে মারা যায় ১৩টি প্রাণি। এই ১৩ প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় এবার ওয়াল্ডলাইফ সুপারভাইজারকে সরিয়ে নিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।এর আগে ১৩ প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় বদলি করা হয় পার্কের প্রকল্প পরিচালককে। সেই সাথে বদলি হয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসককে।
বদলি করা কর্মকর্তা আফ্রিকান সাফারির দায়িত্বে ছিলেন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা দীপংকর কর।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এই বদলির তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত করেন।
দীপংকর কর জানান, সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওয়াইল্ডলাইফ সুপারভাইজার ছিলেন সারোয়ার হোসেন।
তিনি আফ্রিকান সাফারিতে থাকা প্রাণীগুলোর দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মোহাম্মদ হেলিম রায়হান এখন তার পরিবর্তে এ দায়িত্ব পালন করবেন।
সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক মোল্ল্যা রেজাউল করিম।
তিনি জানান, সরকারি চাকরির স্বাভাবিক বদলির অংশ বদলি।
সেই হিসেবেই সারোয়ার হোসেনকে তার পদ থেকে বদলি করা হয়েছে।
১৩ প্রাণি মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে
এ মৃত্যুর ঘটনায় পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তখন দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে।
গত ৩১ জানুয়ারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান ও চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকারনাইনকে বদলি করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সীমানাপ্রাচীরের ভেতর থেকে খাবার পাচার, জেব্রা ও বাঘ মৃত্যুর ঘটনাটি গোপন রাখা এবং জেব্রাগুলোর হত্যা।
স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন মহল সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার এই অভিযোগ করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল কবিরকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়।
এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৬ জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটি সাফারি পার্ক পরিদর্শন ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।
এই তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছিল।
পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির পুনরায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময়সীমা আরও ১০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।