Tuesday, 05 August, 2025

লাল শাক চাষে লাভবান দিনাজপুরের কৃষক


যে দিকে তাকানো যায় সেদিকেই লাল।  দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার কান্তনগর এলাকার জমিগুলোতে এখন যেন লালের সমারোহ। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন কেউ লাল কার্পেট বিছানো রয়েছে মাঠে ঘাটে। এখানকার উঁচু জমিনগুলোতে বন্যা না হওয়ায় এ বছর লাল শাক চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

এ বছর এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল পর্যাপ্ত। সেই সাথে আবহাওয়াও ছিল অনুকুলে। তারই প্রেক্ষিতে এ অঞ্চলের মানুষ শীতকালীন এ শাকের চাষ করতে উদ্বুদ্ধ হয়। ফলাফল হিসেবে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা সকলেই।

লালশাক আমাদের দেশে জনপ্রিয় ফসল

আরো পড়ুন
ভেনামী চিংড়ি চাষে রোগের কারন, লক্ষন, প্রতিকার এবং চিকিৎসা

ভেনামী চিংড়ি (Vannamei shrimp, Litopenaeus vannamei) চাষ বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রোগবালাই এই চাষে অন্যতম Read more

বিদেশি আনারসের পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য, নতুন দিগন্তের হাতছানি

দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে ফিলিপাইনের বিখ্যাত 'এমডি-২' জাতের আনারসের। কৃষি বিভাগ মনে করছে, এই Read more

লালশাক আমাদের দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফসল। দেশের আনাচে কানাচে প্রায় সর্বত্রই জন্মে লালশাক। শুধু তাই নয় আমাদের দেশে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। একটি উপাদেয় খাদ্য হিসেবে এই শাকের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। লালশাকের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে শর্করা ৪.৯৬ মিলিগ্রাম, প্রোটিন ৫.৩৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৭৪ মিলিগ্রাম, স্নেহ ০.১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.১০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১১.৯৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪২.৯০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.১৩ মিলিগ্রাম, অন্যান্য খনিজ ১.০৬ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪৩ কিলোক্যালরি। এই শাক দাতের ক্ষয়, হাড়ের ক্ষয় রোধে কাজ করে। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এ আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাছাড়া হজম শক্তি বাড়ায় লাল শাক। শরীরে রক্তশূণ্যতা দেখা দিলে তার উত্তম ওষুধ হিসেবে কাজ করে লালশাক।

সরেজমিনে কাহারোলের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা সারি সারি ভা্বে বসে নিজ নিজ জমিন থেকে টকটকে-সতেজ লাল শাক তুলছেন। সেই সকল শাক তারা আবার আঁটি করে বেঁধে রাখছেন।শাক এর আটি গুলো জমিন থেকে তুলে পানিতে পরিস্কার করে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতি আঁটি শাকের দাম ১৫-১৭ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে।

এ এলাকার একজন কৃষক জানান, এ মৌসুমে তিনি দেড় বিঘা জমিতে দুইবার লাল শাক চাষ করেছেন তিনি। এতে তার লাখ টাকার উপরে আয় হয়েছে। তিনি আরও জানান, লাল শাক আবাদের খরচ খুবই কম। মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয় এক বিঘা জমিতে লাল ‍শাক আবাদে । লাল শাক মাত্র ২০ দিন বয়সে উঠানো যায়।

আরও এক জন কৃষক জানান, তিনি তার ১০ কাঠা জমিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকার লাল ‍শাক বিক্রি করেছেন।

লাল শাকের ভালো দাম পেয়ে এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও দারুণ খুশি।

0 comments on “লাল শাক চাষে লাভবান দিনাজপুরের কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ