নরসিংদীতে এবছর বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলার রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলে বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। বিস্তীর্ণ চরজুড়ে কেবল সবুজ-হলুদ সংমিশ্রণে বাঙ্গির দৃশ্য। চৈত্রের বাহারি মৌসুমী ফল বাঙ্গি। এর বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি ফুটেছে।
পাশাপাশি ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা।
তাই রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি এলাকার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
স্থানীয় কৃষকরা আশায় বুক বাঁধছেন। উৎপাদিত ফসল নিয়ে।
অল্প পুঁজিতে ভালো মুনাফা হয়।
তাই প্রতি বছরই চরাঞ্চলের মানুষ বাঙ্গি চাষে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের চান্দেরকান্দি এলাকার বেশিরভাগ জুড়েই বাঙ্গির চাষ।
এসব বাঙ্গি ক্রয় করতে নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের জেলার পাইকারি ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাঙ্গিতে আয় বেশি হয়।
তাই অধিকাংশ কৃষকই বাঙ্গি চাষে ঝুকেছেন।
গত বছরের তুলনায় এবছর বাঙ্গির ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
পাইকারি দরে প্রতি ১০০ পিস ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি পিস পাইকারি মূল্য দাঁড়ায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
স্থানীয় কৃষক সুজন মিয়ার সাথে কথা হয়।
তিনি জানান, গত ৪ বছর যাবত বাঙ্গির চাষ করে আসছেন।
এবার বাঙ্গি চাষে ব্যয় করেছেন ৬০ হাজার টাকা।
বর্তমান বাজার মূল্যে তার জমির সকল ফসল বিক্রি করতে চান তিনি।
সেটা পারলে আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো লাভবান হবেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গত বছর ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করে বাঙ্গির চাষ করেন।
বীপরিতে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
এবার আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
বিভিন্ন পাইকারি ক্রেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে বাঙ্গি ক্রয় করেন।
এরপর তা নরসিংদী জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় চলে যায়।
তারা সেখানকার হাট-বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এটি সরবরাহ করেন।
প্রতি বাঙ্গিতে সব মিলিয়ে ৫ টাকা করে লাভ পেলেই তারা সন্তুষ্ট।
রায়পুরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে।
এখান থেকে প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন বাঙ্গি পাওয়া যাবে এবছর, এমনটা মনে করেন তিনি।
রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত বাঙ্গির জমজমাট হাট বসেনি।
তবে বেশ কিছু বাঙ্গি বিক্রেতা চোখে পড়ছে।
খুচরা হিসেবে প্রতিটি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সেখানে।