ব্যস্ততা বেড়ে যাবার সাথে সাথে মানুষের শহরে জীবনের প্রতি চাহিদা বেড়ে চলেছে। পোষা প্রানীর প্রতি মানুষের সহানুভূতি বাড়ছে। বাংলাদেশে পোষা প্রানীর প্রতি মানুষের মানবিকতা, প্রানীর পোষার হার বেড়ে চলেছে। এর ফলাফল স্বরূপ বাংলাদেশে পোষা প্রাণীর খাদ্য, ঔষধ ও সরঞ্জামের ব্যবসা ক্রমবর্ধমান।
বিশ্ব পোষা প্রাণীর বাজার অনেক বড় এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ব্মলবার্গ ইন্টেলিজেন্স (বিআই) এর একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে পোষা প্রানীর শিল্প আজ ৩২০ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে চলেছে।
পোষা প্রানীর প্রতি সহানুভূতি বাড়ছে, এর ফলে পরিবারের সদস্যদের মত পোষা প্রাণীর সাথে পরিবারে সদস্যের মতই সমান ভাবে মৌলিক চাহিদা সরবরাহের মানষিকতা বাড়ছে। পোষা প্রানীর মালিক তার প্রানীকে সমান জীবন যাপনের মান প্রদান করার চেষ্টা করে।
গুলশান ফজলে রাব্বি পার্কে নাহিদ একটি পোষা বিড়াল নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়, তার মতে প্রতি মাসে বিড়ালের খাবার, ও অন্যন্য খরচ বাবদ তার খরচ হয় ৩০০০ টাকা। তবে সেক্ষেত্রে তার কোন সমস্য হয় না সে তার পোষা প্রানীর জন্য এই খরচ প্রতি মাসের বাজেটে রেখেছে।
তবে আর একজন বলছেন, পোষা কুকুরের জন্য প্রতিমাসে খরচের পরিমান ৫০০০ টাকা,
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মালিকদের মধ্যে বিড়াল, কুকুর, খরগোশ এবং পাখির মতো পোষা প্রাণীকে তাদের পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে দেখেন।
পেট জোন বিডি এর মতে করোনার আগে পোষা প্রানীর সরঞ্জাম কিনে এরকম কাষ্টমার ছিল ২ লাখ, করোনার পরে এ সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬ লাখ।
একটা জরিপ বলছে প্রতি বছর ২০ শতাংশ বৃদ্ধি ধরে বাংলাদেশ প্রায় ২০০ কোটি টাকার পোষা প্রানীর সরঞ্জাম ও খাবার এর বাজার রয়েছে।
পোষা প্রানীর প্রায় সকল কিছু খাদ্য ও সরঞ্জাম এবং ঔষধ বিদেশ থেকে আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরন হচ্ছে।
একটি পোষা প্রানীর সরঞ্জামির আমদানিকারক 3S impex এর মালিক এবং সিও হাবিবুর রহমানের মতে ২০০০ সালে প্রতি মাসে তার ব্যবসা হত ৫০০০০ টাকা যা এখন বৃদ্ধি হয়েছে ২ কোটি টাকা। তবে এই মার্কেটে এখন ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থাপনা।