Tuesday, 12 August, 2025

একুরিয়াম মাছের পেট ফোলা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও করনীয়


Aquarium Fish Dropsy

মাছ চাষের পুকুরে, বায়োফ্লকে, একুরিয়ামে কিংবা যেকোন উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পেট ফোলা একটি পরিচিত রোগ।  মাছের পেট ফোলা রোগ হলে দৈহিক ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় পড়তে হয়।

আসুন জেনে নেয়া যাক মাছের পেট ফোলা রগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও ঔষধ প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।

এ রোগকে কখনো অবহেলা করা উচিৎ নয়। তাতে মারাত্নক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া জলাশয়, ঘের ও পুকুরে ভালো মাছের ফলন পেতে নিয়মিত সব বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে হবে।

আরো পড়ুন
সেচ সংকট ও খরা পশু খাদ্য উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করছে

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সেচ সংকট এবং খরার কারণে পশু খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে দেশের অনেক Read more

ফরিদগঞ্জে ‘সোনালি আঁশ’ এখন সোনালি অতীত? আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা একসময়  ছিল পাটের জন্য বিখ্যাত। চারপাশে দেখা যেত পাটের খেত, আর নদী-খাল-পুকুরে চলত পাট জাগ দেওয়া ও Read more

আক্রান্ত মাছের প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হলো একুইরিয়াম গোল্ড ফিস, কার্প জাতীয় মাছ,সিলভার কার্প, পুঁটি মাছ,গ্লাস কার্প,ব্লার্ড কার্প,তেলাপিয়া,কাতলা, মিরর কার্প,শিং, মাগুর ও পাঙ্গাশ মাছ।

একুরিয়াম বা বায়োফ্লকে মাছের পেট ফোলা রোগের লক্ষণ ও কারনঃ

মাছের দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় এবং পানি সঞ্চালনের মাধ্যমে পেট ফুলে যায়।

মাছ ভারসাম্যহীন ভাবে চলাচল করে এবং মাছ পানির ওপর ভেসে থাকে।

খুব অচিরেই আক্রান্ত মাছের মৃত্যু ঘটে।

এরোমোনাডস ব্যাকটেরিয়া একুরিয়াম বা বায়োফ্লকে মাছের পেট ফোলা রোগের কারন।

Fish dropsy diseases
Fish dropsy diseases

একুরিয়াম বা বায়োফ্লকে মাছের পেট ফোলা  চিকিৎসা এবং ঔষধ প্রয়োগঃ

মাছের পেটের পানিগুলো খালি সিরিঞ্জ দিয়ে বের করে নিতে হবে।

প্রতি কেজি মাছের জন্য ২৫ মিঃগ্রাঃ হারে ক্লোরেমফেনিকল ইনজেকশন দিতে হবে অথবা প্রতি কেজি খাবারের সাথে ২০০ মিঃগ্রাঃ ক্লোরেমফেনিকল পাঊডার মিশিয়ে সরবরাহ করতে হবে।

Goldfish dropsy
Goldfish dropsy

একুরিয়াম বা বায়োফ্লকে মাছের পেট ফোলা প্রতিষেধক/প্রতিকারঃ

বায়োফ্লকে প্রতি ১০০০ লিটারে ১০০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করুন। একুরিয়ামে পানি পরিবর্তন করুন এবং পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করুন।

প্রতি শতাংশ (ঘের ও পুকুর) জলাশয়ে ১ কেজি হারে চুন এবং ৪০০ গ্রাম হারে লবন প্রয়োগ করুন। মাছের খাবারের সাথে ফিশমিল ব্যবহার করুন।

মাছকে সুষম খাদ্য সরবরাহ করবেন। প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে প্লাংকটনের স্বাভাবিক উৎপাদন নিশ্চিত করুন। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে ১০০-১৫০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫০-৭৫ গ্রাম টি এস পি ব্যবহার করুন।

One comment on “একুরিয়াম মাছের পেট ফোলা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও করনীয়

kabir

Dhonniban vai bisoy ti alochona korar jonno

Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ