Thursday, 28 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

দিনে ৩ লিটার দুধ দিচ্ছে ১০ মাস বয়সী বকনা বাছুর!


১০ মাস বয়সী বকনা বাছুর দিচ্ছে দিনে তিন লিটার দুধ। ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের বাড়িতে। বাছুরটির মা দুধ দিচ্ছে ছয় লিটার। এ ঘটনা শুনে প্রতিদিন এলাকাবাসীসহ উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।

সখীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল জলিল জানিয়েছেন, এমন ঘটনায় বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নেই।

তিনি বলেন, হরমোনের কারণে এমনটা হতে পারে। ঘটনাটি ভিন্ন রকম মনে হলেও ওই বকনার দুধ পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত। এ ধরনের ঘটনা দেশে এর আগেও ঘটেছে।

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

খোরশেদ আলমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুন ১০ মাস বয়সের ওই বকনা গরুর ওলান থেকে দুধ সংগ্রহ করছেন। এমন দৃশ্য দেখতে উৎসুক মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।

ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুল হাই তালুকদার বলেন, ‘সাধারণত যে গাভি বাছুর প্রসব করে সেই গাভিই দুধ দিয়ে থাকে। ১০ মাস বয়সী বকনা বাছুর দুধ দেয়ার এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিষয়টি শুনে আমরা আশ্চর্য হয়েছি। যারা বিশ্বাস করতে চান না তারা দুধ দোয়ানোর দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন।’

গৃহিণী মর্জিনা খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি পারিবারিক পরিবেশে গাভি পালন করছেন। ১০ মাস আগে তার পালিত বিদেশি জাতের গাভিটির বাছুর হয়। সেই বাছুরকে লালন-পালন করে আসছেন তিনি। ১৫ দিন আগে ১০ মাস বয়সী বাছুরকে গোসল করাতে গেলে গরুটির ওলান ফোলা দেখতে পান। এ সময় তিনি ধারণা করেন, ওলানে দুধ জমেছে। দুধ সংগ্রহ না করলে ওলান থেকে এমনি এমনি দুধ ঝরে পড়ছে। এ কারণে তিনি ১৫ দিন ধরে এই বকনা বাছুর থেকে দুধ সংগ্রহ করছেন।

তিনি জানান, প্রথম কয়েক দিন আধা লিটার দুধ পেয়েছেন। এখন দুধ পাওয়া যাচ্ছে তিন লিটার। পরিবারের সদস্যরা ওই দুধ পান করছেন। মাঝে মধ্যে এলাকার লোকজনকেও টাকা ছাড়াই তিনি দুধ দিচ্ছেন।

0 comments on “দিনে ৩ লিটার দুধ দিচ্ছে ১০ মাস বয়সী বকনা বাছুর!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *