Saturday, 21 December, 2024

সর্বাধিক পঠিত

বারোমাসি হাইব্রিড শিম চাষ পদ্ধতি


Beans Cultivation

শীতকালে যে শিম ১০ টাকা তার মূল্য গ্রীস্মকালে ১৪০ টাকা কেজি। বারোমাসি হাইব্রিড শিম চাষে অনেক বেশি লাভ করা যায়। এটি আর অন্য কোন শিম নয়, এর নামই হচ্ছে ” অটো শিম”।

বারোমাসি হাইব্রিড শিমের বৈশিষ্টঃ

    আরো পড়ুন
    কোয়েল পাখি (quail birds) পালন পদ্ধতি

    কোয়েল পাখি পালন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কারণ এটি অল্প জায়গায় এবং কম খরচে করা যায়। নিচে কোয়েল পাখি Read more

    কিভাবে বাসায় বাজরিগার (Budgerigar Bird) পাখির যত্ন নিবেন?

    বাজরিগার পাখি পালন করার জন্য সঠিক পরিচর্যা, সুষম খাবার, ও একটি উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। বাজরিগার পাখি বাসায় পালন Read more

  • ফুল-ফলের জন্য এটি (শীতকালের) ছোট দিনের জন্য অপেক্ষা করে না, তাই একে দিবসনিরপেক্ষ জাত বলে।
  • গ্রীষ্মকালেও এটি দিব্যি ফল দিতে সক্ষম। তাই একে গ্রীষ্মকালীন শিম বলে।
  • সারা বছর এই শিম চাষ করা যায়। তাই একে বারমাসি শিম বলে।

বারোমাসি হাইব্রিড শিমের চাষ কেন  করবেন ?

রাজশাহী, পাবনা, শেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বারোমাসি শিমের প্রায় একচেটিয়া রাজত্ব চলে আসছে। শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিণ, কার্তিক, অগ্রাহায়ন এই পাঁচ মাস বারোমাসি হাইব্রিড শিমটি বাজার দখল করে থাকে। এ সময় বাজার মূল্যও চড়া থাকে। পৌষ মাসে দেশি শিমের আবির্ভাব হলে বাজারমূল্য পড়ে যায়। তখন এই শিম চাষিরা তাদের গাছ কেটে ফেলে বা বীজ তৈরী করে।

  1. শিমটি দেখতে সবুজ, মাংসল, সাইজে বড় ও চ্যপ্টা, খেতে নরম ও সুস্বাদু। তাই ক্রেতারা পছন্দ করে।
  2.  শিম মাংসল, চোচা মোটা, তাই ওজনে ভারি হয়।
  3.  শিমের গ্রোথ অনেক বেশি। বীজ হওয়ার আগেই শিমের ওজন হয়ে যায়। তাই তাড়াতাড়ি শিম সংগ্রহ করা যায়।
  4. গাছের রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড় কম। সহজে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় না।
  5. গ্রীষ্মকালীন জাত হওয়ায় এর প্রতিকূল আবহাওয়া সহনশীলতা খুব বেশি।
  6. আগাম চাষে এর রেজাল্ট মারাত্মক।
  7. দীর্ঘ সময় ধরে, প্রায় শ্রাবন মাস থেকে ফাল্গুন মাস অর্থাৎ ৮ মাস ধরে বিরতিহীনভাবে ফলন দিতেই থাকে।
  8. গাছের গ্রোথ ভালো, প্রচুর ফুল এবং ফলের ধরন ভালো, তাই ফলন বেশি হয়। এ শিম চাষ করে কৃষককে কখনও নিরাস হতে হয় না।
  9. এটি বানিজ্যিক শিম, বহু কাল ধরে বানিজ্যিকভাবে জনপ্রিয়তার সাথে চাষ হয়ে আসছে।
  10. মোটকথা, এ সকল কারনের জন্য যখন ভোক্তা, বিক্রেতা আর উৎপাদনকারী সকলেই খুশি, তখন কার বাপের কী? চাষ শুরু করে দিন।
শিমের চাষ
শিমের গাছ

হাইব্রিড বারোমাসি শিম চাষের পদ্ধতি

প্রতি মাদায় ৪-৫ টি বীজ বপন করতে হবে। ৫ ফিট পর পর আশেপাশের মাটি কোদাল দিয়ে টেনে এনে উচু ঢিবি আকৃতির মাদা করতে হবে। বর্ষায় যাতে গোড়া পচে না যায়, তার জন্য এই ধরনের মাদা।

গাছ লতিয়ে গেলে মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত আগাছা দমন করতে হবে। শোষক লতা অপসারণ করতে হবে। লতা পেচিয়ে গেলে খুলে দিতে হবে। মাঝে মাঝে পাতা ছাটাই করতে হবে৷

১০ কাঠা (অর্ধ বিঘা) জমির জন্য ১২ কেজী টিএসপি + ৮ কেজী পটাশ + ১ কেজী কার্বোফুরান + ৪ কেজী জিপসাম আর বেশি পরিমান জৈব সার শেষ চাষের আগে ছিটিয়ে দিতে হবে।

হাইব্রিড বারোমাসি শিমের রোগবালাই

গ্রীষ্মকালীন শিম হওয়ায় প্রচুর পোকামাকড় আক্রমন করে।

ফল ছিদ্রকারী পোকা আর সাদা মাছি দমনের জন্য নিয়মিত এমামেকটিন বেনজয়েট/সাইপারমেথ্রিন/ এবামেকটিন + ইমিডাক্লোরপিড/এসিটামিপ্রিড স্প্রে করতে হবে।

আদ্র আবহাওয়ায় পচনের আক্রমণ বেশি হয়। তাই নাটিভো / এমিস্টারটপ স্প্রে করতে হবে।

পোকার আক্রমণ বুঝে সপ্তাহে ২-৩ দিন স্প্রে করতে হবে। এর সাথে পিজিআর ও অনুখাদ্য প্রয়োজন বুঝে স্প্রে করতে হবে।

প্রয়োজনে কৃষি অফিসারে সহযোগিতা নিন।

0 comments on “বারোমাসি হাইব্রিড শিম চাষ পদ্ধতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *